জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি শনাক্ত হয়েছে। মোট ২৯২ নতুন আক্রান্তের মধ্যে শহরের ১৪৩ ও গ্রামের ১৪৯ জন। এ সময়ে তিন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি এবং নগরীর সাতটি ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ২৯২ জীবাণুবাহকের মধ্যে শহরের ১৪৩ জন এবং বারো উপজেলার ১৪৯ জন। সংক্রমণের হার ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৯৭ হাজার ৯৬২ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭১ হাজার ৪৬৮ জন ও গ্রামের ২৬ হাজার ৪৯৪ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজানে সর্বোচ্চ ৪৩ জন, ফটিকছড়িতে ২৭ জন, হাটহাজারীতে ২২ জন, বাঁশখালীতে ১৩ জন, আনোয়ারায় ১১ জন, সাতকানিয়ায় ৯ জন, পটিয়া ও সীতাকু-ে ৭ জন করে, বোয়ালখালীতে ৫ জন, মিরসরাই ও চন্দনাইশে ২ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়ায় একজন রয়েছেন।
গতকাল করোনায় শহরের একজন ও গ্রামের ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ১৯৬ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬৭৬ জন ও গ্রামের ৫২০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি ৫৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ৪৪ ও গ্রামের ৩৬টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয় ল্যাবে ২৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা হলে শহরের ২৮ ও গ্রামের ২২ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৮৭টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩২ ও গ্রামের ১১টিতে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ল্যাবে ১৭৮ জনের নমুনায় শহরের ১২ ও গ্রামের ৪৭ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ১১৮ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ২ জনসহ ১৭ জনকে পজিটিভ বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শহরের একজন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬৪ জনের নমুনায় গ্রামের একজনসহ ১৩ জন, মেডিকেল সেন্টারে ১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৪ জন এবং এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতাল ল্যাবে ৬৩ নমুনায় শহরের ৮ ও গ্রামের ৪ জন করোনায় আক্রান্ত বলে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রামের ৬২ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ১৩ টির পজিটিভ ফলাফল আসে।
এদিন নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরি এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১৪ দশমিক ১৬ শতাংশ, সিভাসু’তে ২০ দশমিক ৬৬, চমেকে ২২ দশমিক ৯৯, চবিতে ৩৩ দশমিক ৭১, এন্টিজেন টেস্টে ১৪ দশমিক ৪০, শেভরনে ০ দশমিক ৫৮, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২০ দশমিক ৩১, মেডিকেল সেন্টারে ২২ দশমিক ২২, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৯ দশমিক ০৫ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ২০ দশমিক ৯৭ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।