জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ২৫ জনের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরীর আট ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ২৫ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এতে শহরের ১৪ জন ও পাঁচ উপজেলার ১১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে বোয়ালখালীতে ৫ জন, রাউজানে ৩ জন এবং রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ১ হাজার ৯০৪ জন। এর মধ্যে শহরের ৭৩ হাজার ৭৮০ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ১২৪ জন।
গতকাল করোনায় গ্রামের ৩ বাসিন্দা মারা যান। মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৩০৮ জন। এতে শহরের ৭২০ জন ও গ্রামের ৫৮৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৬৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখানে শহরের ৪ ও গ্রামের ১ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৮৩ জনের নমুনায় শহরের ২ ও গ্রামের ৫ জন করোনা শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ৩ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ৫১৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের একটি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১১৭ নমুনার মধ্যে শহরের ২টি, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৮২ নমুনায় শহরের ২টিতে এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৩টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩ ও গ্রামের ২টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। মেডিকেল সেন্টারে ১৯, ল্যাব এইডে একটি এবং চট্টগ্রাম থেকে পাঠানো ৭টি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা করলে সবগুলোরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
এদিন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল এবং এন্টিজেন টেস্টে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ, চমেকহা’তে ৬ দশমিক ০২, চবি’তে ৩ দশমিক ৮৯, শেভরনে ০ দশমিক ১৯, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১ দশমিক ৭১, মা ও শিশু হাসপাতালে ২ দশমিক ৪৪, এপিক হেলথ কেয়ারে ১১ দশমিক ৬৩ এবং মেডিকেল সেন্টার, ল্যাব এইড ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।