জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় এখানে সর্বোচ্চ নতুন ৭৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ৩৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। এদিন জেলায় মোট আক্রান্ত ৬৩ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্টসহ দশটি ল্যাবে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ২ হাজার ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ৭৮৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫১০ জন ও চৌদ্দ উপজেলার ২৭৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ৪৩ জন, সীতাকু-ে ৪২ জন, মিরসরাইয়ে ৩৭ জন, রাউজানে ২৮ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ২৩ জন, ফটিকছড়িতে ২০ জন, আনোয়ারায় ১৯ জন, পটিয়ায় ১৬ জন, সন্দ্বীপে ১৫ জন, সাতকানিয়ায় ১২ জন, বাঁশখালীতে ৭ জন, লোহাগাড়ায় ৫ জন এবং বোয়ালখালী ও চন্দনাইশে ৩ জন করে রয়েছেন।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৬৩ হাজার ৬৯৬ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৯ হাজার ২৮২ জন ও গ্রামের ১৪ হাজার ৪১৪ জন।
করোনায় গতকাল শহরের ২ জন ও গ্রামের ৮ রোগীর মৃত্যু হয়। এদের ৩ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৭৫৪ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৪৮৮ জন ও গ্রামের ২৬৬ জন। সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন নতুন ১৪৫ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৫০ হাজার ৬৩৭ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ৮৪৫ জন ও ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪৩ হাজার ৭৯২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২২৪ জন এবং ছাড়পত্র নেন ১৫১ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৬৮৮ জন।
সংশ্লিষ্ট সৃত্র জানায়, গতকাল ১০ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি মাসের প্রথম আট দিনে ৪৭ জনের মৃত্যু হলো। এদিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও সর্বোচ্চ অবস্থানে ওঠে এসেছে। আগের দিন ৭১৩ জন আক্রান্ত এবং ৯ রোগীর মৃত্যু হয়। সংক্রমণ হার ছিল ৩৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। তবে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হার নির্ণিত হয় ৬ জুলাই, ৩৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এদিন ৬১১ জনের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয় ও আক্রান্ত ৪ রোগী মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে, এবারও দ্রুততম দুইদিনে করোনায় আক্রান্ত হাজার পূর্ণ করে। এনিয়ে পঞ্চম বার দুই দিনে হাজারপূর্তি ঘটলো। তবে জেলায় মোট আক্রান্ত ৬১ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ জুলাই ৬২ হাজার অতিক্রম করে। সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ১৬ দিনে ১ হাজার পূর্ণ হয় ৩১ জানুয়ারি, ৩৩ হাজার অতিক্রম করাকালে।
সিভিল সার্জন অফিসের রিপোর্টে আরও দেখা যায়, গতকাল এন্টিজেন টেস্টে সবচেয়ে বেশি ৫১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে শহরের ৭৫ ও গ্রামের ১১৪ জন ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানানো হয়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৪৭০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১২১ ও গ্রামের ৫১ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩১৩ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৮০ জন ও গ্রামের ২৭ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২০৬ টি নমুনার মধ্যে নগরীর ৪৫ ও গ্রামের ৩০ টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নগরীর ৩৬ ও গ্রামের ৪০ জন ভাইরাসবাহক চিহ্নিত হন।
নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৪০ টি নমুনায় গ্রামের ৪ টিসহ ১৭ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ১৫৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ২ টিসহ ৪২ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৪০ টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ১ টিসহ ৬৫ টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৩ টি নমুনায় গ্রামের ৪ টিসহ ২২ টি এবং মেডিকেল সেন্টারে ৬৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে নগরীর ১৮ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এদিন চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি এবং এপিক হেলথ কেয়ারেও নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, এন্টিজেন টেস্টে ৩৬ দশমিক ৪১ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৩৬ দশমিক ৫৯, চমেকে ৩৪ দশমিক ১৮, সিভাসু’তে ৩৬ দশমিক ৪১, চবি’তে ৪৯ দশমিক ৩৫, আরটিআরএলে ৪২ দশমিক ৫০, শেভরনে ২৬ দশমিক ৯২, ইম্পেরিয়ালে ৪৬ দশমিক ৪৩, মা ও শিশু হাসপাতালে ৬৬ দশমিক ৬৬ এবং মেডিকেল সেন্টার ল্যাবে ২৬ দশমিক ০৮ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।