জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১২ জন মারা গেছেন। এ সময়ে নতুন ৭৭২ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও আটটি ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ২ হাজার ৮৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৭৭২ জনের মধ্যে শহরের ৪৪৪ জন ও ১৩ উপজেলার ৩২৮ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ৭৫, রাউজানে ৬২, বোয়ালখালীতে ৫৩, আনোয়ারায় ৩৫, ফটিকছড়িতে ২৬, সাতাকানিয়ায় ২৪, সীতাকু-ে ১৭, পটিয়া, চন্দনাইশ ও বাঁশখালীতে ৮ জন করে, মিরসরাইয়ে ৭, লোহাগাড়ায় ৩ ও রাঙ্গুনিয়ায় ২ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৯২ হাজার ৬৭৯ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৬৮ হাজার ৩৩৮ শহরের ও ২৪ হাজার ৩৪১ জন গ্রামের ।
গতকাল করোনায় শহরের ৮ ও গ্রামের ৪ জনের মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৯৪ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৬৩৯ ও গ্রামের ৪৫৫ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৫৪৩ জন। এতে মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৫৯ হাজার ২৬৪ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৮ হাজার ৫১৯,বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৫০ হাজার ৭৪৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩৮৫ এবং ছাড়পত্র নেন ৩৮৩ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪ হাজার ৩৭১ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৭৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৩১ ও গ্রামের ৬১ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪১৬ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৮০ ও গ্রামের ৬৪ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৫৭ ও গ্রামের ৮১ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৮০ নমুনায় শহরের ১৭ ও গ্রামের ৬৮ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৫০৬ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ৪৮ ও গ্রামের ৩২ জনকে সংক্রমিত বলে জানানো হয়। নগরীর বিশেষায়িত কভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৯টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একটিসহ ৪টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ৫ টিসহ ৪১টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১২০টি নমুনায় গ্রামের একটিসহ ৩৯টি ও এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১৪০টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩৪ ও গ্রামের ১১টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এদিন চট্টগ্রামের ১৯ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এবং বাকীগুলোর ফলাফল নেগেটিভ আসে।
আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল এবং মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ, চমেকে ৩৪ দশমিক ৬১, চবিতে ৪০ দশমিক ৯৫, সিভাসু’তে ৩০ দশমিক ৩৫, আরটিআরএলে ৪৪ দশমিক ৪৪, এন্টিজেন টেস্টে ১৫ দশমিক ৮১, শেভরনে ১৫ দশমিক ৩০, ইম্পেরিয়ালে ৩২ দশমিক ৫০, এপিকে ৩২ দশমিক ১৪ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২১ দশমিক ০৫ শতাংশ সংক্রমণ রেকর্ড হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।