জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ সময় এক রোগির মৃত্যু হয় এবং সুস্থ হন ৪৫ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এ সব তথ্য পাওয়া যায়।
রিপোর্টে দেখা যায়, এন্টিজেন টেস্ট, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর নয় ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ৪৮ বাহকের মধ্যে শহরের ২৮ জন এবং আট উপজেলার ২০ জন। জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১ হাজার ৪৩৬ জনে দাঁড়ালো। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭৩ হাজার ৪৮৫ ও গ্রামের ২৭ হাজার ৯৫১ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ২০ জনের মধ্যে সীতাকু-ে ৭ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৬ জন, পটিয়ায় ২ জন এবং রাউজান, ফটিকছড়ি, মিরসরাই, সাতকানিয়া ও বাঁশখালীতে ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় গ্রামের এক রোগির মৃত্যু হয়। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ২৮৪ জন হয়েছে। এর মধ্যে শহরের ৭০৮ ও গ্রামের ৫৭৬ জন। এ সময়ে সুস্থ হয়ে ওঠেছেন ৪৫ জন। জেলায় মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮৬ হাজার ৩৪৭ জনে। এদের মধ্যে ১০ হাজার ৪৭৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ও ৭৫ হাজার ৮৭৩ জন বাসায় চিকিৎসা নিয়েছেন। কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ১২০ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৪৮ জন। বর্তমানে ১ হাজার ৪৬৫ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৭২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ১২ ও গ্রামের ৭ জনের পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৯২ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৭৯টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫ ও গ্রামের ৭টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৩টি নমুনায় গ্রামের একজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১৩৮ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে শহরের ১ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৫ ও গ্রামের ৩টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৯ নমুনার মধ্যে শহর ও গ্রামের একটি করে, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৬ নমুনায় শহরের ১টি, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩১ নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ১টি এবং ল্যাব এইডে ৩টি নমুনার মধ্যে শহরের ১টিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে একজনও পজিটিভ পাওয়া যায়নি।
তবে এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রাম থেকে করোনার নমুনা পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ, চমেকে ১ দশমিক ০৪, চবি’তে ১৫ দশমিক ১৯, এন্টিজেন টেস্টে ০ দশমিক ৭২, আরটিআরএলে ৩৩ দশমিক ৩৩, শেভরনে ২ দশমিক ০১, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ শতাংশ, আগ্রাবাদ মা ও শিশুতে ৫ দশমিক ১৩, মেডিকেল সেন্টারে ৬ দশমিক ২৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩ দশমিক ২২ এবং ল্যাব এইডে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ সংক্রমণ হার পাওয়া যায়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।