জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩৩ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ সময়ে ২ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নগরীর নয় ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে সোমবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ২৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৩৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২০ জন ও ছয় উপজেলার ১৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজান, হাটহাজারী ও সীতাকু-ে ৩ জন করে, মিরসরাইয়ে ২ জন এবং বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ১ হাজার ৬৬৩ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩ হাজার ৬৩৪ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ২৯ জন।
গতকাল করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে শহর ও গ্রামের একজন করে মৃত্যুবরণ করেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১ হাজার ২৯৫ জনে দাঁড়ালো। এতে শহরের বাসিন্দা ৭১৫ জন ও গ্রামের ৫৮০ জন। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩২ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৬৭৮ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১০ হাজার ৫৪১ জন ও ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন ৭৬ হাজার ১৩৭ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হয়েছেন ১০০ জন এবং ছাড়পত্র নিয়েছেন ৬৬ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৭২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৪৮৫ টি নমুনার মধ্যে শহরের ২ ও গ্রামের ৪ টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ১৭৯ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৩ ও গ্রামের ২ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২ ও গ্রামের ২ জনের শরীরে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৮৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৪ ও গ্রামের ৪ টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১১৫ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ৩ জন পজিটিভ বলে জানানো হয়। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৯ টি নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে করোনার জীবাণু চিহ্নিত হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৭০ টি নমুনায় শহর ও গ্রামের একটি করে, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫৭ টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৩ টি এবং ল্যাব এইডে ৩ টি নমুনার মধ্যে একটিতে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৯০ ও মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবক’টিরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রামের ৩ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় একটিও পজিটিভ পাওয়া যায়নি। বেসরকারি ল্যাবরেটরি শেভরনে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ, চমেকে ২ দশমিক ৭৯, সিভাসু’তে ৩ দশমিক ৩৩, চবি’তে ৮ দশমিক ৯৯, এন্টিজেন টেস্টে ২ দশমিক ৬১, আরটিআরএলে ১১ দশমিক ১১, মা ও শিশু হাসপাতালে ২ দশমিক ৮৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫ দশমিক ২৬, ল্যাব এইডে ৩৩ দশমিক ৩৩ এবং ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।