জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১ হাজার ৪৬৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৩৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ সময়ে ৯ রোগীর মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে আজ এতথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও দশ ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ৩ হাজার ৯২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ১ হাজার ৪৬৬ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১ হাজার ৮৫ জন ও চৌদ্দ উপজেলার ৩৮১ জন।
উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ রাউজানে ৬২ জন, বোয়ালখালীতে ৪৮ জন, হাটহাজারীতে ৪৫ জন, রাঙ্গুনিয়া ও সাতকানিয়ায় ৩৮ জন করে, ফটিকছড়িতে ৩৩ জন, সীতাকু- ও চন্দনাইশে ২৬ জন করে, মিরসরাইয়ে ১৯ জন, সন্দ্বীপে ১৭ জন, বাঁশখালীতে ১২ জন, আনোয়ারায় ৭ জন এবং লোহাগাড়া ও পটিয়ায় ৫ জন করে রয়েছেন।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৮১ হাজার ২১৭ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬০ হাজার ৯০৭ জন ও গ্রামের ২০ হাজার ৩১০ জন।
করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গতকাল নগরীর ৫ জন ও গ্রামের ৪ জনের মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৯৫৮ জনে দাড়িয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৫৭৪ জন ও গ্রামের ৩৮৪ জন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছরের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনার প্রথম ভাইরাসবাহক শনাক্তের পর গতকাল একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক পজিটিভ শনাক্ত হয়। একদিন আগে ২৮ জুলাই সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৩১৫ জন সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছিল। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় গত বছর ৩০ জুন আক্রান্তের সংখ্যা একদিনে সর্বোচ্চ ৪৪৫ জন পর্যন্ত ওঠেছিল।
গতকাল ৯ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি মাসের প্রথম ২৯ দিনে চট্টগ্রামে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৫১ জনে। একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয় ২৬ জুলাই, ১৮ জন। ওইদিনের সংক্রমণ হারও এ যাবতকালে সবচেয়ে বেশি, ৩৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে গতকাল ৯০১ জনের এন্টিজেন টেস্ট করানো হয়। এতে শহরের ১১৫ ও গ্রামের ২১৩ জন পজিটিভ বলে জানানো হয়।
ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৮৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৯৭ ও গ্রামের ৪৩ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়।
ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৬৯ টি নমুনায় শহরের ৯৭ ও গ্রামের ৪৭ টিতে ভাইরাস ধরা পড়ে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২৯৭ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৯৫ ও গ্রামের ২২ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৮৮ জন ও গ্রামের ৫ জন জীবাণুবাহক বলে চিহ্নিত হন।
নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ২৮ টি নমুনার মধ্যে গ্রামের একটিসহ ৯ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৩৭ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৯২ ও গ্রামের ১১ টি, শেভরনে ২২৩ টি নমুনায় শহরের ৭৬ ও গ্রামের ৬ টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ৮৮ টি নমুনায় গ্রামের ৩ টিসহ ৪৬ টি, মেডিকেল সেন্টারে ৪৯ নমুনার মধ্যে শহরের ২৫ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৬৮১ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩৪৯ ও গ্রামের ৩০ টিতে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।
এদিন চট্টগ্রামের ৩ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় তিনটিরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে দেখা যায়, এন্টিজেন টেস্টে ৩৬ দশমিক ৪০ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১৬ দশমিক ৩৩, সিভাসু’তে ৩৮ দশমিক ০২, চমেকে ৩৯ দশমিক ০২, চবিতে ৪৮ দশমিক ৯৪, আরটিআরএলে ৩২ দশমিক ১৪, ইম্পেরিয়ালে ৪৩ দশমিক ৪৬, শেভরনে ৩৬ দশমিক ৭৭, মা ও শিশু হাসপাতালে ৫২ দশমিক ২৭, মেডিকেল সেন্টারে ৫১ দশমিক ০২, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫৫ দশমিক ৬৫ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।