জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে ১৯ মাসের সর্বনিম্ন সংক্রমণ হার রেকর্ড হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার এ যাবতকালের সর্বনিম্ন ০ দশমিক ২০ শতাংশ। তবে এ সময়ে একজনের মৃত্যু হয়।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
উল্লেখ্য, এর আগের সর্বনিম্ন ০ দশমিক ২৬ শতাংশ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয়েছিল ২২ অক্টোবর। এ দিন ৩ জন আক্রান্ত চিহ্নিত হন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নগরীর সরকারি-বেসরকারি আট ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল চট্টগ্রামের ২ হাজার ২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ৪ জীবাণুবাহকের মধ্যে শহরের ৩ জন এবং রাউজান উপজেলার একজন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ১৬৩ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭৩ হাজার ৯৩২ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ২৩১ জন।
গতকাল করোনায় গ্রামের একজন মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৩২০ জন। এর মধ্যে শহরের ৭২১ জন ও গ্রামের ৫৯৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৯৩৭টি নমুনা পরীক্ষা হয় বেসরকারি ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে। এখানে শহরের একটির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। অপর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে পরীক্ষিত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬৪ জনের নমুনার একটিতেও জীবাণু মিলেনি। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৪৬১ নমুনায়ও কোনো পজিটিভ পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শহরের একজনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ল্যাবে ১৯ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের একজন আক্রান্ত ধরা পড়ে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ৪৩ জনের এন্টিজেন টেস্টে একজনের শরীরেও ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়নি। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবক’টিরই নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া যায়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে মেডিকেল সেন্টারে ৯ জন ও ল্যাব এইডে ৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দুই ল্যাবেই কোনো সংক্রমিত ব্যক্তি মিলেনি। এপিক হেলথ কেয়ারে ৩২ নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো একমাত্র নমুনাটিও নেগেটিভ প্রমাণিত হয়।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয়, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল এবং মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ দশমিক ১০ শতাংশ, চমেকে ২ দশমিক ০৮, চবি’তে ৫ দশমিক ২৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩ দশমিক ১২ এবং শেভরন, বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট, আরটিআরএল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইডে এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।