জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩৩২ জন নতুন আক্রান্ত ও ৫৯০ জন সুস্থ হয়েছেন। এ সময় করোনা রোগীদের ৪ জনের মৃত্যু হয়। সংক্রমণ হার ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গতকাল শুক্রবার এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর আটটি ল্যাবে ২ হাজার ৬০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৩৩২ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২০৮ জন এবং বারো উপজেলার ১২৪ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৩১ জন, রাউজানে ২৮ জন, সীতাকুন্ডে ১৬ জন, বোয়ালখালীতে ১৩ জন, পটিয়া ও ফটিকছড়িতে ৯ জন করে, আনোয়ারা ও মিরসরাইয়ে ৫ জন করে, বাঁশখালীতে ৪ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ২ জন এবং লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯৬ হাজার ৮৩৫ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭০ হাজার ৮৫১ জন ও গ্রামের ২৫ হাজার ৯৮৪ জন।
গতকাল চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত শহরের একজন ও গ্রামের ৩ জন মারা যান। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ১৭০ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৬৬৫ জন ও গ্রামের ৫০৫ জন। এদিন আরোগ্যলাভ করেন ৫৯০ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৬৪ হাজার ৬০৫ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৯ হাজার ২৭৫ জন এবং হোম আইসোলেশেনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৫৫ হাজার ৩৩০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩০৪ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৩৬৮ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ১ হাজার ৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩৯ ও গ্রামের ১৬ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৩১১ জনের নমুনায় শহরের ৩৮ ও গ্রামের ১৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৯৯ টি নমুনায় শহরের ১৫ ও গ্রামের ২৯ টিতে করোনার জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৭৮ জনের মধ্যে শহরের ২৬ ও গ্রামের ২৯ জন আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ২১০ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে শহরের ১৪ ও গ্রামের ২১ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৪২০ টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ৪ টিসহ ২৯ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১১০ টি নমুনার মধ্যে গ্রামের একটিসহ ১২ টি, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৪১ নমুনায় গ্রামের ৩ টিসহ ১৫ টি, মেডিকেল সেন্টারে ৩১ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১০ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ৬৯ নমুনার মধ্যে গ্রামের ৫ টিসহ ২৩ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রামের ৪ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হলে সবক’টিরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৫ দশমিক ৩২ শতাংশ, চমেকে ১৭ দশমিক ৩৬, সিভাসু’তে ২২ দশমিক ১১, চবি’তে ৩০ দশমিক ৯০, এন্টিজেন টেস্টে ১৬ দশমিক ৬৬, শেভরনে ৬ দশমিক ৯০, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১০ দশমিক ৯০, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৬ দশমিক ৫৮, মেডিকেল সেন্টারে ৩২ দশমিক ২৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৩ দশমিক ৩৩ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।