![](https://i0.wp.com/inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2020/06/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1-%E0%A7%A7%E0%A7%AF.jpg?resize=788%2C450&ssl=1)
জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে দেড় মাসের বেশি সময়ে করোনার সর্বনিম্ন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৩০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ। তবে এ সময়ে ৭ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এ তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে দেখা যায়, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছুটি থাকায় এগারো ল্যাবের সাতটিতে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এন্টিজেন টেস্টে অল্প কিছু পরীক্ষা হয়। গতকাল চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ২৩০ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৬৩ জন এবং বারো উপজেলার ৬৭ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯৫ হাজার ৪৪ জনে। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৬৯ হাজার ৭৭৫ জন ও গ্রামের ২৫ হাজার ২৬৯ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ৬৭ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ বোয়ালখালীতে ২১, ফটিকছড়িতে ১৭, চন্দনাইশে ১১, পটিয়া ও সাতকানিয়ায় ৪ জন, হাটহাজারী, মিরসরাই ও আনোয়ারায় ২ জন এবং রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, সন্দ্বীপ ও লোহাগাড়ায় ১ জন করে রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শহরের ২ জন ও গ্রামের ৫ জনের মৃত্যু হয়। জলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ১২৮ জন। এর মধ্যে ৬৪৯ জন শহরের ও ৪৭৯ জন গ্রামের। সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ১৬৫ জনকে। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৬১ হাজার ৬৬৭ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৮ হাজার ৯১৩ জন ও বাসায আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৫২ হাজার ৭৫৪ জন। হোম আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে নতুন করে যুক্ত হন ৩২২ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৩৪৩ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪ হাজার ৩৭৯ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৫ জুন এর চেয়ে কম ২১৬ ব্যক্তির শরীরে জীবাণু শনাক্ত হয়েছিল। সংক্রমণ হার ছিল ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি ৯৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে শহরের ৩৮ ও গ্রামের ২৮ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫৩ ও গ্রামের ২২ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। ১৮ জনের এন্টিজেন টেস্টে গ্রামের ৪ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।
নগরীর বেসরকারি পাঁচ ল্যাবরেটরির সবক’টিতে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৯৮টি নমুনায় গ্রামের ৪টিসহ ২৫টি, শেভরনে ৯৩ নমুনার মধ্যে গ্রামের একটি, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৩টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ২টিসহ ৮টি, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩৫ নমুনার মধ্যে শহরের ১১টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ১০৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩৪ ও গ্রামের ৬টিতে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনাও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ, চমেকে ২৩ দশমিক ০৭, এন্টিজেন টেস্টে ২২ দশমিক ২২, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১২ দশমিক ৬২, শেভরনে ১ দশমিক ০৭, মা ও শিশুতে ৩৪ দশমিক ৭৮, মেডিকেল সেন্টারে ৩১ দশমিক ৪৩ এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।