জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন একজন আক্রান্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ০ দশমিক ০৭ শতাংশ। এ সময় কোনো করোনা রোগির মৃত্যু হয়নি।
২০২০ সালের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এটি দ্বিতীয় সর্বনি¤œ সংখ্যক সংক্রমণ ও আক্রান্তের হার। এর আগে ২১ নভেম্বর প্রথমবারের মতো শহর এবং গ্রামে করোনায় কেউ আক্রান্ত হয়নি। অবশ্য সেদিন ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর ছয় ল্যাবে চট্টগ্রামে ৭৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো আজকের রিপোর্টে জানা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর নয় ল্যাবে গতকাল সোমবার জেলার ১ হাজার ৩৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত একমাত্র ব্যাক্তি সাতকানিয়া উপজেলার। জেলায় এখন করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ৩৯৮ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৭৪ হাজার ৮৯ জন শহরের ও ২৮ হাজার ৩০৯ জন গ্রামের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কোনো মৃত্যু না থাকায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩১ জন রয়েছে। এতে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬০৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৩৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে সাতকানিয়ার একজনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৬৯, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয় ল্যাবে ১৩, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩৬৪, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২২৬, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৫১, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১১১, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৩, ল্যাব এইডে ৪ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নগরীর নয় ল্যাবরেটরিতে ৯৬৩টি নমুনার একটিতেও ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
তবে চট্টগ্রাম জেলার করোনা আক্রান্ত নির্ণয়ের জন্য নির্ধারিত ১৩ ল্যাবরেটরির দু’টি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল এবং এন্টিজেন টেস্টে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং চমেকহা, সিভাসু, শেভরন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, ল্যাব এইড ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।