জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা ও হার দু’টোই কিছুটা কমেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৭০৪ জন নতুন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ২৯ দশমিক ০৫ শতাংশ। এ সময় শহর ও গ্রামে করোনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের গতকালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য ১৬ ল্যাবরেটরির মধ্যে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর ৬ ল্যাবে গতকাল ২ হাজার ৪২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৭০৪ জনের মধ্যে শহরের ৫৩১ ও ১৪ উপজেলার ১৭৩ জন। উপজেলার ১৭৩ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ৩৪, ফটিকছড়িতে ২৮, আনোয়ারায় ২৭, রাউজানে ২৩, রাঙ্গুনিয়ায় ১৬, মিরসরাইয়ে ১০, চন্দনাইশে ৮, বোয়ালখালীতে ৭, পটিয়া ও সাতকানিয়ায় ৬ জন করে, লোহাগাড়ায় ৩ জন, বাঁশখালী ও সন্দ্বীপে ২ জন করে এবং সীতাকু-ে একজন রয়েছেন। কর্ণফুলী উপজেলায় একজন আক্রান্ত ও মিলেনি। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার ৯৭ জনে। এর মধ্যে শহরের ৮০ হাজার ৩৬২ এবং গ্রামের ২৯ হাজার ৭৩৫ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৮৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ১৪০ ও গ্রামের ২৩ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৪১৫ নমুনার মধ্যে শহরের ১৫৬ ও গ্রামের ১৫টিতে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১২১ জনের নমুনায় শহরের ৬৭ জন পজিটিভ শনাক্ত হন।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৪২৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১২০ ও গ্রামের ৪০ জন সংক্রমিত মিলেছে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬৯টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৩ ও গ্রামের ৪৫টিতে জীবাণু পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৫৬টি নমুনার মধ্যে শহরের ১৭ ও গ্রামের ১৫টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষিত ২৮৭ জনের নমুনায় শহরের ১৮ ও গ্রামের ৩৫ জনের শরীরে সংক্রমণ চিহ্নিত হয়।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, এপিক হেলথ কেয়ার, ল্যাব এইড, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ও শাহ আমানত বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো কেন্দ্রে একজনেরও এন্টিজেন টেস্ট করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শেভরনে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৪১ দশমিক ২০, চমেকহা’য় ৫৫ দশমিক ৩৭, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৭ দশমিক ৮২, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২১ দশমিক ৫৬, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৫৭ দশমিক ১৪ এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।