
জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনায় ৪ জনের শরীরে নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ০ দশমিক ২৩ শতাংশ। এ সময় করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর দশ ল্যাবে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ৪ জন পজিটিভ শনাক্ত হন।
এর মধ্যে শহরের একজন ও দুই উপজেলার ৩ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ১২৫ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩২০ জন।
উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ফটিকছড়িতে ২ জন ও হাটহাজারীতে এক জন রয়েছেন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি।
জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩১ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬০৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এখানে কোনো করোনা পজিটিভ মিলেনি। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৪১৫টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ২টিতে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩২৬ জনের নমুনার মধ্যে শহর ও গ্রামের একজন করে আক্রান্ত বলে চিহ্নিত হন।
এদিকে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৪৫, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৫, নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৭, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৪৩, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৪৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৬ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ২২ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। চট্টগ্রামের ৮টি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়।
নয় ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে পরীক্ষিত মোট ৫০৭টি নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
চট্টগ্রাম জেলার করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ১৪ ল্যাবরেটরির মধ্যে শুধুমাত্র ল্যাব এইডে এদিন কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, বিআইটিআইডি ০ দশমিক ৪৮ ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ০ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং চমেকহা, চবি, সিভাসু, আরটিআরএল, শেভরনে, মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel