জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে আরো ৭৪২ জনের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৩৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় ৪ রোগীর মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ প্রকাশিত ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রিপোর্টে জানা যায়, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজসহ মোট এগারোটি ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল শুক্রবার পাঁচটি ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে চট্টগ্রামের ২ হাজার ১৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। নতুন পজিটিভ ৭৪২ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬৪৯ জন এবং বারো উপজেলার ৯৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ফটিকছড়িতে সর্বোচ্চ ২২ জন, আনোয়ারায় ২১ জন, সীতাকু- ও সাতাকনিয়ায় ১২ জন করে, রাউজানে ৭ জন, সন্দ্বীপে ৬ জন, চন্দনাইশে ৫ জন, পটিয়া, হাটহাজারী ও মিরসরাইয়ে ২ জন করে এবং বাঁশখালী ও লোহাগাড়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৮১ হাজার ৯৫৯ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬১ হাজার ৫৫৬ জন ও গ্রামের ২০ হাজার ৪০৩ জন।
গতকাল করোনায় আক্রান্ত শহরের ৩ ও গ্রামের একজন মারা যান। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ৯৬২ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৫৭৭ জন ও গ্রামের ৩৮৫ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ২৫৫ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৫৫ হাজার ৮২৪ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭ হাজার ৯৩০ জন এবং ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪৭ হাজার ৮৯৪ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩২৭ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৩১৭ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৭৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১২৫ ও গ্রামের ৩৯ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৬৩২ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২৯৬ ও গ্রামের ৯ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৩২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১৪০ জন ও গ্রামের ২৪ জন জীবাণুবাহক বলে চিহ্নিত হন। মোট ১১২ টি নমুনার এন্টিজেন টেস্টে শহরের ৪২ ও গ্রামের ৬ টিতে জীবাণুর উপস্থিতি মিলে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ২১৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৭৮ ও গ্রামের ৯ টি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১১৭ টি নমুনায় গ্রামের ৬ টিসহ ৬৪ টিতে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এদিন ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), আরটিআরএল, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার ও এপিক হেলথ কেয়ারে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনাও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২২ দশমিক ৪৬ শতাংশ, চমেকে ৪৮ দশমিক ২৬, চবি’তে ৪২ দশমিক ৬৮, এন্টিজেন টেস্টে ৪২ দশমিক ৮৫, শেভরনে ৪০ দশমিক ৪৬ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৫৪ দশমিক ৭০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।