জুমবাংলা ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র আঘাতের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ ও হাতিয়া রুটে নৌ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২ হাজার ৭৩৯ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র। খবর ইউএনবি’র।
বুধবার সন্ধ্যার পর চট্টগ্রাম জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় নৌ চলাচলের সিদ্ধান্ত ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখার সিন্দান্ত নেওয়ার পরই তা কার্যকর করা হয়।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ মোকাবিলার জন্য ২ হাজার ৭৩৯টি সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সচেতনতার জন্য উপকূলীয় এলাকাগুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ ও হাতিয়া রুটে নৌ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জেলার অভ্যন্তরিণ নদীগুলোতে নৌ চলাচল বন্ধ থাকবে।
তিনি জানান, চট্টগ্রামের সব সরকারি কর্মকর্তাকে স্থান ত্যাগ না করার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে এখনও ছুটি বাতিলের কোনো নির্দেশনা আসেনি।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর এবং কক্সবাজার উপকলীয় অঞ্চলে ৪ স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে যতগুলো ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে তার কোনোটি কখনই এতো শক্তিশালী আকার ধারণ করেনি। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ সাধারণত ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel