জুমবাংলা ডেস্ক : মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের পৃষ্ঠপোষকতায় আগামী ২৫ এপ্রিল, শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের আলোচিত ঐতিহ্যবাহী আব্দুল জব্বারের বলী খেলার ১১৬ তম আসর।
এ উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দান ও আশেপাশে ২৪, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে বৈশাখী মেলা।
বলী খেলার প্রস্তুতি তুলে ধরতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর লালদীঘি পাড়ের সিটি কর্পোরেশন লাইব্রেরীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বলীখেলা আয়োজক কমিটি ২০২৫-এর সদস্য সচিব এবং আবদুল জব্বার সওদাগরের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল, গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম সেন্ট্রাল রিজিয়নের রিজিওনাল হেড মোরশেদ আহমেদ, চট্টগ্রাম বিজনেস সার্কেলের মার্কেট কমিউনিকেশন হেড মো: আব্দুল্লাহ আল নূর সহ বলী খেলার আয়োজক কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বাংলার যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি তাদের শারীরিকভাবে তৈরি করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে এই বলী খেলার প্রচলন হয়েছিল। চট্টগ্রামের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে যাওয়া এ আয়োজনটি শুরু হয়েছিল শহরের আগেকার বদরপাতি এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগরের হাত ধরে। কালক্রমে তারই নামানুসারে এটি পরিচিতি পেয়েছে ‘জব্বারের বলী খেলা’ নামে।
স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা নামকরা বলীরা (কুস্তিগীর) এই খেলায় অংশ নেন। এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে ১৫০ জন বলী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। শুরুর ধারাবাহিকতা মেনে প্রতি বছর বাংলা সনের ১২ বৈশাখ এ খেলার আয়োজন করা হয়।
লালদীঘি ময়দানে স্থাপন করা হবে বলীখেলার মূল রিং। নগরীর কোতোয়ালী থানার মোড় থেকে শুরু করে আন্দরকিল্লা মোড়, পশ্চিমে সিনেমা প্যালেস মোড় ও পূর্বে জেল রোডে (বদরপাতি) বসবে বৈশাখী মেলার স্টল। শিশুদের পুতুল ও খেলনা থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় সব পণ্য পাওয়া যায় এ মেলায়।
বলীখেলা আয়োজক কমিটি ২০২৫-এর সদস্য সচিব এবং আবদুল জব্বার সওদাগরের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা সু্ষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, সিটি করপোরেশন ও মেলা কমিটি নানা উদ্যোগ নিয়েছে। আপনাদের সবার অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় আমরা ঐহিত্যবাহী এই আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারব বলে আমাদের বিশ্বাস।’
গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম সেন্ট্রাল রিজিয়নের রিজিওনাল হেড মোহাম্মদ মোরশেদ আহমেদ বলেন, ‘জব্বারের বলী খেলার মতো একটি ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় আয়োজনে অংশ হতে পেরে গ্রামীণফোন গর্বিত। এর আগেও আমরা এই আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক ছিলাম। আমরা স্থানীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সমাজ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে এমন আয়োজনের পাশে থাকতে সংকল্পবদ্ধ গ্রামীণফোন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।