জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রাম জেলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মহানগরীতে নতুন ৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। জেলার ১৫ উপজেলায় একজনের দেহেও সংক্রমণ চিহ্নিত হয়নি। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, রোববার ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ও নগরীর নয় ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে ৫৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত নতুন ৩ শহরের। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৯৭ জনে। এর মধ্যে শহরের ৯২ হাজার ৭০ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫২৭ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যায়নি। মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ও গ্রামের ৬২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বিআইটিআইডি’তে রোববার সবচেয়ে বেশি ১৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে একজনও জীবাণু বাহক মিলেনি।
বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৬২, শেভরনে ৮৪ ও এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষিত ১৯৪ নমুনার মধ্যে তিন ল্যাবের প্রত্যেকটিতে একজন করে পজিটিভ শনাক্ত হন।
অপর সাত পরীক্ষাগারের মধ্যে সরকারি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১৬, বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৪ ও নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৮ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৭, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৬০, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৫৩ এবং এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। চার ল্যাবে ১৯৭ নমুনার একটিতেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানোর প্রয়োজন পড়েনি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১ দশমিক ৬১, শেভরনে ১ দশমিক ১৯ ও এপিক হেলথ কেয়ারে ২ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং বিআইটিআইডি, চমেকহা, আরটিআরএল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।