জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪৭ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ। এ সময় করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর দশ ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল চট্টগ্রামের ৩৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৪৭ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের ৩২ ও সাত উপজেলার ১৫ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৪, রাউজানে ৩, বোয়ালখালী, কর্ণফুলী ও লোহাগাড়ায় ২ জন করে এবং ফটিকছড়ি ও সাতকানিয়ায় একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৪০৬ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৯৩ হাজার ৬০০ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৮০৬ জন।
রিপোর্টে দেখা যায়, নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে গতকাল সর্বোচ্চ ৯৫ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। এখানে গ্রামের ১০ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১০ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২৯ জনের নমুনায় শহরের ৬ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৮ নমুনার একটিতেও জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলেনি।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩৬টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪ ও গ্রামের একটিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৩ জনের নমুনার মধ্যে শহরের একজন ভাইরাসবাহক শনাক্ত হন। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৮ নমুনায় শহর ও গ্রামের একটি করে নমুনায় জীবাণু অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৭টি নমুনার একটিও সংক্রমিত পাওয়া যায়নি। এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতাল ল্যাবে ৫৯ নমুনায় শহরের ৩ ও গ্রামের একটিতে জীবাণুর উপস্থিতি ধরা পড়ে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৮ জনের নমুনায় শহরের একজনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৪ ও গ্রামের একটি আক্রান্ত পাওয়া যায়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৬ নমুনার মধ্যে শহরের ২ ও গ্রামের একটিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ল্যাব এইড ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, এন্টিজেন টেস্টে ১০ দশমিক ৫২ শতাংশ, বিআইটিআইডি ল্যাবে ২৩ দশমিক ২৫, চমেকহা’য় ২০ দশমিক ৬৯, আরটিআরএল ও মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে ০ শতাংশ, শেভরনে ১১ দশমিক ১১, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৭ দশমিক ৬৯, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১১ দশমিক ১১, এপিক হেলথ কেয়ারে ৬ দশমিক ৭৮, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১২ দশমিক ৫০, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১২ দশমিক ৮৩ এবং এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৫০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।