জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে প্রায় সাড়ে চার মাস পর করোনায় আক্রান্ত দুইশ’ ছাড়িয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে নতুন করে ২০৭ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণের হার ৯ দশমিক ০১ শতাংশ। এ সময় একজনের মৃত্যু হয়।
জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এ সব তথ্য জানা যায়।
চট্টগ্রামে সর্বশেষ এর চেয়ে বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ২৮ আগস্ট। ওই দিন ২৬৭ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ও ৪ জনের মৃত্যু ঘটে। সংক্রমণের হার ছিল ১৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ। তবে ৩০ আগস্ট ২০৬ জনের নমুনায় জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ছিল ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, এন্টিজেন টেস্ট, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও নগরীর এগারো ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ২ হাজার ২৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ২০৭ জনের মধ্যে শহরের ১৮৭ ও উপজেলার ২০ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারী ও রাউজানে ৫ জন করে, সাতকানিয়ায় ৩ জন, আনোয়ারা, ফটিকছড়ি ও বোয়ালখালীতে ২ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়ায় একজন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ৩ হাজার ৪১০ জন। এর মধ্যে শহরের
৭৪ হাজার ৯৫১ ও গ্রামের ২৮ হাজার ৪৫৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরের একজনের মৃত্যু হয়। জেলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৩৫ জনে। এদের মধ্যে শহরের ৭২৫ ও গ্রামের ৬১০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৩৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ১২টি নমুনায় করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২২ জন শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১১৬ জনের নমুনায় শহরের ২৪ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৮ নমুনায় শহরের ৫টিতে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৫ জনের নমুনার মধ্যে শহর ও গ্রামের ২ জন করে আক্রান্ত পাওয়া যায়। বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৪৭ নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৩২টির পজিটিভ আসে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩১৯ জনের নমুনা থেকে শহরের ২৮ ও গ্রামের ২ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করলে শহর ও গ্রামের একটি করে সংক্রমিত মিলেছে। মেডিকেল সেন্টার হাসপতালে ১০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহর ও গ্রামের ৪ জন করে আক্রান্ত চিহ্নিত হন। এপিক হেলথ কেয়ারে ৭৩ নমুনার মধ্যে শহরের ১৯টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ১১৭ নমুনায় ১৯টিতে জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত হয়। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৮৬ নমুনা পরীক্ষায় শহর ও গ্রামের ৩টি করে পজিটিভ হয়। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত ল্যাবে ৩৯৩ বিদেশ গামীর নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৩ জন আক্রান্ত ধরা পড়ে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৭৭ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে শহরের ১৩ ও গ্রামের ৮ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
এ দিন নগরীর একমাত্র ল্যাবে এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শেভরনে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ২৩, চমেকহা’য় ২০ দশমিক ৬৯, সিভাসু’তে ১৭ দশমিক ৮৫, চবি’তে ১৬, আরটিআরএলে ৬৮ দশমিক ০৮, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৯ দশমিক ৪০, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১ দশমিক ১৮, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৭ দশমিক ৫৪, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ২৬ দশমিক ০২, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৬ দশমিক ২৩, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৬ দশমিক ৯৭, শাহ আমানত বিমানবন্দরে ০ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং এন্টিজেন টেস্টে ২৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।