জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত ২ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। একই সাথে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৭৪২ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৩৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর ১০ ল্যাবরেটরি এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল ৩ হাজার ১৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ১ হাজার ১২১ জনের মধ্যে শহরের ৭৯৭ ও ১৪ উপজেলার ৩২৪ জন। উপজেলার ৩২৪ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ৪৭, ফটিকছড়িতে ৪৬, পটিয়ায় ৪২, মিরসরাইয়ে ৩৪, আনোয়ারায় ৩২, সাতকানিয়ায় ২৭, রাউজানে ১৯, বোয়ালখালীতে ১৬, রাঙ্গুনিয়ায় ১৫, বাঁশখালীতে ১৩, চন্দনাইশে ১২, লোহাগাড়ায় ১১, সীতাকু-ে ৬ ও সন্দ্বীপে ৪ জন রয়েছেন। কর্ণফুলী উপজেলায় কোনো নতুন রোগি শনাক্ত হয়নি। জেলায় করোনায় মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৬ জনে। এর মধ্যে শহরের ৮৪ হাজার ৬৩৭ এবং গ্রামের ৩১ হাজার ৩৯৯ জন। গতকাল করোনায় আক্রান্ত গ্রামের ২ জন মারা যান। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩৫০ জন হয়েছে। এতে শহরের ৭২৯ ও গ্রামের ৬২১ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৬৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ২২৯ ও গ্রামের ৪৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২৩৪ জনের নমুনায় শহরের ৭৭ ও গ্রামের ১৪ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৪৫টি নমুনার মধ্যে শহরের ২৯ ও গ্রামের ১৭টিতে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে পরীক্ষিত ২০১টি নমুনায় শহরের ৬৪ ও গ্রামের ২৫টি আক্রান্ত শনাক্ত হয়। বিশেষায়িত কোভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ২৬ ও গ্রামের ২ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩৯৮টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬৯ ও গ্রামের ৪৮ টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৭১টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬১ ও গ্রামের ১৪টিতে করোনার উপস্থিতি মিলেছে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ২৩১ জনের নমুনায় শহরের ২৪ ও গ্রামের ৮ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ২৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১৩২ ও গ্রামের ৮ জন আক্রান্ত বলে রিপোর্ট দেয়া হয়। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৫৪টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৭৫ ও গ্রামের ৪টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৯৪ জনের নমুনায় শহরের ১১ ও গ্রামের ১০ জনের দেহে করোনার জীবাণু চিহ্নিত হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৩২৯ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ১২৫ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
এ দিন, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরন ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিকল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ৪৩ দশমিক ১৭, চমেকহা’য় ৩৮ দশমিক ৮৯, চবি’তে ৩১ দশমিক ৭২, সিভাসু’তে ৪৪ দশমিক ২৮, আরটিআরএলে ৬৬ দশমিক ৬৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৯ দশমিক ৩৯, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৭ দশমিক ৬৭, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৩ দশমিক ৮৫, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৪৬ দশমিক ৮২, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৫১ দশমিক ৩০, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১০ দশমিক ৮২ এবং এন্টিজেন টেস্টে ৩৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।