জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়। সংক্রমণের হার ১ দশমিক ৯২ শতাংশ। আরোগ্যলাভকারী ব্যক্তির সংখ্যাও ৩২।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও নগরীর ৯ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৩২ জনের মধ্যে শহরের ১৫ এবং ৪ উপজেলার ১৭ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ১ হাজার ৭৮৪ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭৩ হাজার ৭০৯ ও গ্রামের ২৮ হাজার ৭৫ জন। উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ১৭ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ৯ জন, রাউজান ও সীতাকু-ে ৩ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়ায় ২ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শহর ও গ্রামে কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। জেলায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩০১ জনই রয়েছে। এর মধ্যে ৭১৮ জন শহরের ও ৫৮৩ জন গ্রামের। সুস্থ হয়ে ওঠেছেন ৩২ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৮৩৩ জনে উন্নীত হলো। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ হন ১০ হাজার ৫৭৯ জন এবং বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় আরোগ্যলাভ করেন ৭৬ হাজার ২৫৪ জন। হোম আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে নতুন যুক্ত হন ৭৬ জন। ছাড়পত্র নেন ৮৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ৭৮০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৫৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৬ ও গ্রামের ৩ জন করোনা শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৯২ জনের নমুনায় শহরের ৩ জনের ভাইরাস শনাক্ত হয়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৯২টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ৮টিতে ভাইরাসের প্রমাণ মিলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১০২টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২ ও গ্রামের ৫টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করে শহর ও গ্রামের একটি করে, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৭৪ নমুনার মধ্যে শহরের একটি, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৬ টি নমুনায় শহরের একটি, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৫ নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটিতে ভাইরাসের প্রমাণ মিলে। এপিক হেলথ কেয়ারে ৭৫টি এবং ল্যাব এইডে ৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবক’টির নেগেটিভ আসে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো চট্টগ্রামের ২টি নমুনায়ও জীবাণু মিলেনি।
তবে, এদিন আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৫১ শতাংশ, চমেকে ১ দশমিক ৫৬, সিভাসু’তে ৪ দশমিক ১৬, চবি’তে ৬ দশমিক ৮৬, শেভরনে ০ দশমিক ৫২, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১ দশমিক ৩৫, মা ও শিশুতে ২ দশমিক ১৭, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৬ দশমিক ৬৬ এবং এপিক হেলথ কেয়ার, ল্যাব এইড ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।