জুমবাংলা ডেস্ক: বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে। খবর বাসসের।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর দেশব্যাপী এর কার্যক্রম শুরু হলেও করোনা পরিস্থিতিসহ নানা জটিলতার কারণে চট্টগ্রামে ই-পাসপোর্ট সেবার কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয় নি।
আজ সকাল ১১টায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লে. কর্ণেল মোহাম্মদ নুরুল আলম।
জানা গেছে, ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই তার পিতা-মাতার পরিচয়পত্র নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মাসুম হাসান জানান, প্রধানমন্ত্রী গত ২২ জানুযারি ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে গত ২৩ মার্চ ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হয়। ৩০ মার্চ আমাদের (পাঁচলাইশ অফিস) ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধনের কথা থাকলেও করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারি সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার কারণে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন কর্মসূচি বাতিল করা হয়।
তিনি জানান, পাসপোর্টের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের সাধারণ ফি সাড়ে ৩ হাজার টাকা। জরুরি ফি সাড়ে ৫ হাজার টাকা ও অতীব জরুরি ফি সাড়ে ৭ হাজার টাকা। তাছাড়া ১০ বছর মেয়েদের পাসপোটের ক্ষেত্রে সাধারণ ফি ৭ হাজার টাকা, জরুরি ফি ৯ হাজার টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট মিলবে তিন দিনে। জরুরি পাসপোর্ট সাতদিনে এবং সাধারণ পাসপোর্ট ২১দিনে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।