জুমবাংলা ডেস্ক: সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আজ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পটিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা উপজেলার ৬০ গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।
সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফ ও চন্দনাইশ শাহ-সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরা প্রায় আড়াইশো বছর ধরে সৌদি আরবের সময় অনুসরণ করে ঈদ, রোজা, কোরবান পালন করে আসছে।
আজ রবিবার মির্জাখীল দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় দরবার শরীফের পীরজাদা মওলানা ড. মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান এবং চন্দনাইশস্থ কাঞ্চননগর শাহ সুফি জাহাঙ্গিরিয়া মমতাজিয়া দরবার শরীফময়দানে শাহ সুফি আলহাজ্ব মওলানা মোহাম্মদ আলী শাহ’র (ম.জ.আ) ইমামতিতে প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিবছর ঈদের জামাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের অনুসারীরা অংশ নিলেও এবার করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে তা হচ্ছে না। সামাজিক দূরত্ব ও সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ নিজ এলাকায় ছোট পরিসরে ঈদের জামাত আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছে দরবার কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে দরবার শরীফের পীরজাদা মওলানা ড. মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান বলেন, প্রায় আড়াইশো বছর ধরে সৌদি আরবের সময় অনুসরণ করে আমরা ঈদ, রোজা, কোরবান পালন করছি। সে অনুযায়ী আমরা আগামীকাল রবিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করবো। কাল সকাল ১০টায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার দরবার শরীফে বড় ঈদ জামাতের আয়োজন হচ্ছে না। নিজ নিজ এলাকায় ছোট পরিসরে ঈদের জামাত আয়োজনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দক্ষিণ চট্গ্রামের যেসব এলাকায় পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে- চন্দনাইশের পশ্চিম এলাহাবাদ, কাঞ্চননগর, খুনিয়ার পাড়া, হাশিমপুর, কেশুয়া, সাতবাড়িয়া, মোহাম্মদপুর, হারালা, চন্দনাইশ পৌরসভার বুলার তালুক, হরিণার পাড়া, ফকির, সর্বল, কাজী বাড়ী, বাঁশখালীর জলদি, কালিপুর, গুনাগড়ি, গণ্ডামার, মিঞ্জিরতলা, ছনুয়া, সাধনপুর, আনোয়ারার তৈলার দ্বীপ, বাথুয়া, বারখাইন, বোয়ালখালীর চরনদ্বীপ, খরনদ্বীপ, লোহাগাড়ার আামিরাবাদ, চুনতি, পুটিবিলা, উত্তর সুখছড়ি, আধুনগর, মইশামুড়া, খোয়ছপাড়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।