আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পূণ্য অর্জন করতে যে করেই হোক প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন ভারতের কোটি কোটি মানুষ। একবার ডুব দিয়ে পাপ ধুয়ে ফেলাই লক্ষ্য। তবে কেন্দ্রীয় সরকারি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, প্রয়াগরাজের গঙ্গার পানি গোসলের যোগ্য নয়। তা মলমূত্রে থাকা জীবানুতে ভর্তি। আর সেই পানি বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে চড়া দামে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, অনলাইনে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কুম্ভমেলার পানি। যারা যেতে পারেননি তারা এই পানির জন্য একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন বলে খবরে বলা হয়। শিল্ড ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা নামানবীর সিং তার লিংকডিনে একটা পোস্ট করেছেন।
সেখানে এই অনলাইনে বিক্রি হওয়া মহাকুম্ভের পানির দাম ও সেটা কতটা ঠিক তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একটি বিপনন কম্পানি ৬৯ রুপিতে মহাকুম্ভ সঙ্গম গঙ্গার পানি বিক্রি করছে। তবে এভাবে বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে ব্যবসার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
তিনি লিখেছেন, এই পানি মহাকুম্ভ থেকে নাকি অন্য় কোথাও থেকে আনা হচ্ছে তা নিয়ে প্রমাণ করার রাস্তা নেই।
এই একই পদ্ধতি গঙ্গার পানির ক্ষেত্রেও। কুম্ভের পানি সংগ্রহের জন্য় এক পয়সা খরচ নেই। যে কেউ এই সংগ্রহ করতে পারেন।
তিনি লিখেছেন, এক লিটারের মিনারেল ওয়াটারের দাম ২০ রুপি। কিন্তু কুম্ভের এই পানির ১০০ মিলির দাম ৯৯ রুপি।
সেই সঙ্গেই একটা কম্পানির নাম উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, যদি ওরা ১ লাখ ভক্তের কাছে এই পানি বিক্রি করতে পারেন তাহলেই তো এক কোটি রুপি আয়। এটা তো পুরো ১৫ দিনে পয়সা ডবলের স্কিম।
এই পন্থা অবলম্বন করে একাধিক ই কমার্স সংস্থা কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছে এই কুম্ভের পানি বিক্রিতে। একটি কম্পানি মহাকুম্ভের পানি বিক্রি করছে ৬৯ রুপি। একটি জনপ্রিয় অনলাইন বিপনন সংস্থা মহাকুম্ভ ত্রিবেণী পানি (১০০ মিলি) ও মাটি বিক্রি করছে ১২১ টাকা করে। অপর একটি অনলাইন প্লাটফর্মে দেখা যাচ্ছে ৫৮ শতাংশ ছাড়ে ১০০ মিলি কুম্ভের পানির ২টি বোতল বিক্রি হচ্ছে ৪৯৯ রুপিতে।
তিনি লিখেছেন, আসলে পুরো বিষয়টাই বিশ্বাসের বাণিজ্যিকিকরণ। আপনিও যদি এই বিশ্বাসের ওপর ব্যবসা করতে পারেন তাহলে আপনি ধনকুবের হয়ে যেতে পারেন ভারতে।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত ১২-১৩ জানুয়ারি প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের নদীর পানি পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, ওই পানি গোসলের যোগ্য নয়। তাতে ফিকাল কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা অনেক বেশি। এই জীবাণু মানুষ এবং পশুর মলমূত্রে থাকে। এছাড়া পুণ্যার্থীদের ভিড়ের কারণে পানিতে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।