জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রদের সকল ধরণের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত আপাতত কলেজের মধ্যে সকল ধরণের মিছিল মিটিং ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি পরীক্ষার্থী ব্যাতিত অন্য শিক্ষার্থীদের ছাত্রবাসে থাকাও আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বুধবার (৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার এ নির্দেশ মানতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকেও নির্দেশ দিয়েছেন।
এসময় হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, যেসব ইন্টার্ন চিকিৎসক ছাত্রাবাস/ছাত্রীনিবাসে অবস্থান করছেন তাদের হলের সিট ছেড়ে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ২০ মে ও ২০ জুলাই পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্যদের ৪ মার্চের মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে। ৫ম বর্ষের ব্লক পোস্টিং এ যারা অধ্যায়নরত রয়েছেন কলেজ একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর বরাবরে মুচলেকা দিয়ে হলে অবস্থান করার অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। হলে অবস্থানকারী ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার প্রবেশপত্র কিংবা মুচলেকা কলেজ কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখতে চাইলে তা দেখাতে হবে।
পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া পর্যন্ত চমেক ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় মিটিং, মিছিল, সভা, সমাবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। আদেশটি ৩ মার্চ থেকে কার্যকর করা হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে অফিস আদেশে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে যেহেতু কলেজ বন্ধ। তাই একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এবং কলেজ না খোলা পর্যন্ত মিছিল মিটিংসহ সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আপাতত নিষিদ্ধ। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এসব কর্মকাণ্ড চলবে না।
এদিকে, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২ মার্চ) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১২টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় লিপ্ত হওয়া দু’গ্রুপের একটি অংশ শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও অপরটি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।