নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলার চরফ্যাশনে বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে বাধা প্রদান করায় চরফ্যাশন গণস্ব্যাস্থের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল হাকিম হাওলাদার এর নতুন ঘড়ে বিদ্যুৎ সংযোগে বাধা প্রদান করার অভিযোগ উঠেছে।
গত ১৮ জুলাই চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিন আইচায় ৮ নং ওয়ার্ডের মরহুম আব্দুস সাত্তার মৌলভীর বড় ছেলে মোঃ ফরিদুল ইসলামের বাড়ির বিদ্যুৎ লাইনের খুটি থেকে পার্শ্ববর্তী আব্দুল হাকিম হাওলাদার এর নতুন বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে গেলে পৃথক ভাবে সংযোগে বাধা প্রদান করেন জাহানপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ফরিদুল ইসলাম ও আব্দুস সাত্তার মৌলভীর ছোট ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান।
এ বিষয়ে মোঃ ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়িতে পল্লি বিদ্যুতের লাইন খুটি স্থাপন করে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহন করে দীর্ঘ দিন যাবৎ চলিতেছি। কিন্তু আমার চাচার বাসা আলাদা করায় আমি আমার জমির খুটি থেকে অন্য বাসায় সংযোগ দিতে দিব না।
এ ব্যাপারে ভোলা পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির উপ জোনাল অফিসের লাইনম্যান সুমন বলেন, আব্দুল হাকিম সাহেব যখন অফিসে মিটারের কথা যানান তখন আমরা ঘটনাস্থলে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে তার মাপতে যাই। তারপর হাওলাদার মেডিকেল এর মালিক মিজান হাওলাদার ঘটনাস্থলে এসে বলেছিলেন এইখান দিয়ে বিদ্যুতের লাইনের তার টানা যাবে না। এখানে ঝামেলা আছে, পরে আমরা চলে আসি। দুইবার মিটার লাগাতে গিয়েছিলাম দুইবারই মিজান হাওলাদার বাধা দেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আব্দুল হাকিম হাওলাদার জানান, আমি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে থাকাকালীন আমার ভাই আব্দুস সাত্তার মৌলভী আমাকে বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার চাকরীচ্যুত করেন। ২০০৫ সালে আমার স্ত্রী এবং আমার দুই ছেলে কে ফরিদ এবং মিজান পিটিয়ে আহত করেন এবং তৎকালীন শশীভূষণ পুলিশ ফাঁড়িতে একটি মামলা করেন,আমরা ঢাকাতে চলে যাই,আমার ভাই মারা যাওয়ার পরে আমরা তাদের বাসায় আসি,মনে করেছিলাম সবার সাথে মিলেমিশে একই বাড়িতে আবার থাকবো তা আর হলো না। ছেলে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমার জমি আমি আলাদা খতিয়ানভুক্ত করি। সেই সুবাদে তারা তাদের বাড়ির বিদ্যুতের খুঁটি থেকে আমাকে বিদ্যুৎ-সংযোগে বাধা প্রদান করে। আমি বর্তমানে বিদ্যুৎহীন অন্ধকারে জীবন যাপন করছি। আমি কারো সাথে সংঘাত চাই না।
এ ব্যাপারে ফরিদুল ইসলাম এর ছোট চাচা আব্দুল লতিফ হাওলাদার জানান, পারিবারিক বিষয় কি বলবো আমার ভাতিজারা বাড়ির খুটি থেকে বিদ্যূৎ সংযোগে বাধা প্রদান করেন। আমার ভাই বেঁচে থাকা অবস্থায় তাহার অত্যাচারে আমার এক ভাই পটুয়াখালীর বাউফলে অবস্থান করতেছে বাড়িতে আসতে পারে না। আমার আরেক ভাই আবদুল হাকিম হাওলাদার ১৯৯১ সালের বন্যার সময় উপকূলীয় এলাকা চরফ্যাশনে ত্রাণ দিতে আসেন। সেখান থেকে ষড়যন্ত্র করে আমার বড় ভাই আব্দুস সত্তার মৌলভী হাকিম সাহেবের চাকরিটা ষড়যন্ত্র করে চাকরীচ্যুত করেন, আমার ভাতিজা মিজান এবং ফরিদকে বলি এক কথা তারা করে আরেক কথা, আমি সরকারি খাস পুকুর পাড়ে থাকি আমার জমি তারা দখল করে নিয়ে গেছে,একই বাড়িতে থাকি,বিদ্যুতের লাইন দিতে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু তারা দিচ্ছে না,তারা অনেক জুলুমবাজ।
স্থানীয় প্রতিবেশি হারুন আখন জানান সুনেছি ফরিদ তাদের বাড়ীর খুটি থেকে লাইন দিবে না,আলাদা খাম্বা লাগাইতে বলছে বিদ্যূৎ অফিসার রা ২ বার মিটার লাগাতে আসছে,তারা বাধা প্রদান করেন,
এ ব্যাপারে চরমানিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শফিউল্লাহ হাওলাদার জানান, আব্দুল হাকিম হাওলাদার নতুন ঘর করেছে জানতে পেরেছি। কিন্তু বিদ্যুতের সমস্যার কথা আমার জানা নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।