জুমবাংলা ডেস্ক : বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাড়িতে এখনও শোকের আবহ। পরিবারের কেউ এ ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না। শোকে পাথর নিহত আবরারের মা কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। কিন্তু শুরু থেকেই এক অদৃশ্য শংকায় সাংবাদিককে দেখে এড়িয়ে যাচ্ছেন আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবরার ফাহাদের গ্রামের বাড়ি কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গাতে এ দৃশ্য দেখা যায়।
বাবা রবকত উল্লাহও বলেন, কিছু গণমাধ্যমের সংবাদে জানতে পারছি আমার ছেলেকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কেউ বা রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাচ্ছে, কিন্তু এইটা আমার ছেলের লাশ নিয়ে যেন কেউ কোনো অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি না ছড়ায় সে জন্য আমি সবার কাছে অনুরোধ করছি।
তিনি আরও বলেন, এমনিতেই সব সময়ের জন্যই এক অজানা শংকায় আমি ও আমার পরিবার-পরিজন চরম ভীতসন্ত্রস্ত জীবনযাপন করছি। আমরা এই শঙ্কামুক্ত নিরাপদ জীবনে ফিরতে চাই।
প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খু’ন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে গত ৫ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জেরে পরদিন ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃ’ত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খু’নিরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।