জুমবাংলা ডেস্ক: আমাদের দেশে চোখে পড়া অনেক ফুলের উৎসই বিদেশ। প্রাচীনকাল থেকেই প্রাকৃতিকসহ নানা উপায়ে ভিনদেশি ফুল তথা বৃক্ষলতা ঠাঁই করে নিয়েছে এই ভূখণ্ডে। দৈনিক কালের কন্ঠের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আসাদ-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত।
সাম্প্রতিককালে এ দেশে দেখা যাওয়া অন্যতম ফুল বুনো চিনাবাদাম ফুল। এটি আমাদের চিরচেনা চিনাবাদামের সঙ্গে সম্পর্কিত।
বহুবর্ষজীবী লতানো গুল্ম। খোলা প্রান্তরে এর দেখা মেলে বেশি। দেখতে সাধারণ চিনাবাদামগাছের মতো হলেও এটি ততটা ওপরের দিকে বাড়ে না। মাটিতে বিছিয়ে থাকে।
বুনো চিনাবাদামের লতা বছরের পর বছর বেঁচে থাকে। খোলা জায়গায় একবার লতা কেটে লাগিয়ে দিলে পুরো জায়গা ছেয়ে যায়। শক্ত সরু লতার ডাঁটিতে দুই জোড়া করে পাতা থাকে। পাতার দৈর্ঘ্য তিন সেন্টিমিটারের মতো। ডিম্বাকার পাতা সামনের দিকটা মোটা এবং বোঁটার দিকে সরু। লতা মাটিতে বিছিয়ে থাকলেও ফুল হয় আকাশমুখী। সাদাটে লম্বা পুষ্পদণ্ডে হলুদ রঙের ফুল ফোটে। দুই সেন্টিমিটার আকারের ফুল দেখতে শিমের ফুলের মতো।
প্রান্তরে গালিচার মতো বিছিয়ে থাকা বুনো চিনাবাদামের সবুজ লতার বুকে একসঙ্গে অনেক ফুল চমৎকার দেখায়। দুপুরের মধ্যেই ফুল নেতিয়ে পড়ে। সারা বছর কমবেশি ফুটলেও গ্রীষ্ম-বর্ষায় ভালো ফোটে এই ফুল।
বুনো চিনাবাদাম সুদূর ব্রাজিলের গুল্ম। এটি বিশ্বের সর্বত্র পরিচিত ‘পিন্টো পিনাট’ নামে। আমাদের নিত্যদিনের চেনা চিনাবাদামের অন্যতম ইংরেজি নাম পিনাট। ব্রাজিলের উদ্ভিদবিদ জেরাল্ডো পিন্টো এই বুনো জাতের চিনাবাদামের লতা ১৯৫৪ সালে আবিষ্কার করেন। তাঁর নামানুসারেই এই লতার নামকরণ হয়। আর এর বৈজ্ঞানিক নাম
Arachis pintoi. ব্রাজিলের সাও ফ্রান্সিসকো ও জেকুইতিনহোনহা নদী উপত্যকার স্থানীয় গুল্ম এটি। ১৯৫৪ সালে ব্রাজিলের বাহিয়া অঙ্গরাজ্য এলাকায় প্রথম এই উদ্ভিদ সংগ্রহ করেছিলেন জেরাল্ডো পিন্টো। গবাদি পশুর চারণভূমির খাবার হিসেবে এর সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন পিন্টো। এ হিসাবে এর ব্যাপক ব্যবহার আছে।
এই প্রতিবেদক প্রথম বুনো চিনাবাদামের দেখা পান রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনে। একদিন বিকেলে দেখা গেল ইনস্টিটিউটের সামনের উঁচু জায়গা যেন সবুজ কার্পেটে মোড়ানো। পরের দিন সকালেই চোখে পড়ে জায়গাটা নরম হলুদ ফুলে ফুলে সেজে আছে। তবে এ বছর সেখানে বুনো চিনাবাদামের ফুল হয়নি। এবার ফুলটির শোভা দেখা যাচ্ছে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামের সামনের ফুটপাতের নিচে এবং ধানমণ্ডি শিল্পগুরু শফিউদ্দিন আহমেদ চত্বরের সামনের লনে।
বাবা হত্যার বিচার পেতে আইনজীবী হলেন ছেলে, যেন সিনেমার কাহিনীও হার মানায়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।