আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনার অভিঘাত কাটিয়ে না উঠতেই আঘাত হানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এতে বিশ্বব্যাপী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায়। ফলে পরিবহন ও আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পায়। তাতে চলতি বছরের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে এশিয়ার দেশে দেশে মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটে।
বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের এখন পর্যন্ত প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি শক্তি খুইয়েছে এ অঞ্চলের ১২টি দেশ। সেই তালিকার প্রথমে রয়েছে চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভোগা শ্রীলঙ্কা। ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রার মান কমেছে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এখন প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ৩৬২ দশমিক ৯৫ লঙ্কান রুপিতে।
এরপরেই রয়েছে পাকিস্তানের মুদ্রা। প্রতি মার্কিন মুদ্রা বিক্রি হচ্ছে ২১৩ দশমিক ৯৮ পাকিস্তানি রুপিতে। এসময়ে বাংলাদেশের মুদ্রার দাম কমেছে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। বর্তমানে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ৯৫ দশমিক শূন্য ৩ টাকায়। আর দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রার দরপতন হয়েছে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। এক ডলার বিক্রি হচ্ছে ১৩০৬ দশমিক ১৩ সাউথ কোরিয়ান ওনে।
একই সময়ে ফিলিপাইন, তাইওয়ান, ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামের মুদ্রারও মূল্যমান হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ৫৫ দশমিক ৮৪ ফিলিপিনো পেসোতে। আর এক মার্কিন মুদ্রার দাম পড়ছে ৭৯ দশমিক ৫৪ ভারতীয় রুপি।
এখন এক মার্কিন মুদ্রা কিনতে লাগছে ৩০ দশমিক ০১ নিউ তাইওয়ান ডলার। এছাড়া এক ডলার বিক্রি হচ্ছে ৪ দশমিক ৪৬ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতে। দরকার হচ্ছে ৩৫ দশমিক ৪৯ থাই বাথ। চীনের ইউয়ান প্রয়োজন হচ্ছে ৬ দশমিক ৭৮। এক ডলার কিনতে এখন লাগছে ১৪,৭৪২ ইন্দোনেশিয়ান রুপিয়া। আর গুণতে হচ্ছে ২৩৩৯৯ ভিয়েতনাম ডং।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।