অর্থনীতি ডেস্ক : চলতি বছরের মাঝামাঝি অর্থনীতিতে চীনকে পেছনে ফেলে দিতে পারে ভারত। বর্তমানে চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। একই সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। এসব কারণে প্রতি বছর দেশটির কৃষি, শিল্প থেকে শুরু করে গৃহস্থালি খাতে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি প্রয়োজন হয়। জ্বালানি তেলনির্ভর অর্থনীতি এগিয়ে নিতে দেশটিতে প্রতি বছরই পণ্যটির চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। অন্যদিকে ভারত বিশ্বের অন্যতম দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতি। ভারতের জনসংখ্যাও শতকোটির ওপরে।
বিস্তৃত বাজারের এ অর্থনীতি এগিয়ে নিতেও অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। এ ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রবৃদ্ধিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনকে ছাড়িয়ে যেতে পারে ভারত। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইএ) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স ও ইকোনমিক টাইমস।
আইইএর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ভারতে প্রতিদিন গড়ে ৪৪ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল প্রয়োজন হতো। অর্তনীতির গতি বিস্তৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশটিতে জ্বালানি তেলের চাহিদাও বাড়তে শুরু করেছে। এ ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সাল নাগাদ দেশটিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দৈনিক গড় চাহিদা দাঁড়াতে পারে ৬০ লাখ ব্যারেলে। সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশটিতে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা যে হারে বাড়ছে, তাতে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে চাহিদা প্রবৃদ্ধিতে চীনকে পেছনে ফেলবে ভারত।
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার পেছনে ভারত সরকারের বিদ্যুৎ নীতি প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার প্রকল্পগুলো দেশটিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে পরিশোধন কেন্দ্রগুলোয় ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ দেশটিতে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা আরো বাড়িয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।