চোখের সামনে অনেক ছোট ভাই-বোনকে পুড়তে দেখেছি। কারও শরীর ছিন্নভিন্ন। বুঝতেই পারছিলাম না—আমি স্বপ্ন দেখছি, নাকি সত্যি! উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিরাজ দিচ্ছিলেন এমনই এক বিভীষিকার বর্ণনা।
নিজ চোখে দেখা এমন দৃশ্য কেউ কোনোদিন কল্পনাও করতে পারেনি। মনের মধ্যে গেঁথে গেছে সেই দুঃসহ স্মৃতি। এ থেকে কীভাবে কাটিয়ে উঠবে তারা, সেই প্রশ্ন সবার মনে। সবার মনেই আঘাত করেছে সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যে শিশুটি সেদিন স্কুলে যায়নি তার মনেও তৈরি হয়েছে ক্ষত। এখনও ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মাইলস্টোন স্কুলের দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাসের ইংলিশ শাখার অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন (অব.) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তদন্ত কমিটি কাজ করছে। শিক্ষার্থীদের ট্রমা এখনও কাটেনি। তাদের জন্য ক্যাম্পাসে তিনজন কাউন্সিসেলিংয়ের জন্য রয়েছেন। শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা ক্যাম্পাসে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। এমন পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহের ক্লাস-পরীক্ষা চালু করা সম্ভব নয়। কবে নাগাদ চালু হবে তা নিয়েও কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে হয়তো আগামী সপ্তাহে ক্লাস চালু হতে পারে।
এ দিকে, বিমান বিধ্বস্তের ৫ পাঁচদিন পর শনিবার (২৬ জুলাই) ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাসুমা (৩৮) নামে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তিনি মাইলস্টোন স্কুলে আয়ার কাজ করতেন। তাকে নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫ জনে।
গত সোমবার (২১ জুলাই) উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন কলেজের মেইন ক্যাম্পাসে যুদ্ধ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।