সুয়েব রানা, সিলেট : দেশের বিভিন্ন বাগানে কাজ করা চা শ্রমিকদের জীবন আটকে গেছে বাগানের চার সীমানাতেই। যুগ যুগ ধরে বাগানের জমিতে তাদের বসবাস। বাগানের দেওয়া জায়গাতেই তাদের থাকতে হয়, নেই কোন স্থায়ী অধিকার। মাথা গোঁজার আশ্রয়টুকু ধরে রাখতে হলে পরিবারের কোন না কোন ব্যক্তিকে বাগানে কাজ করতেই হবে। দেশের নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত প্রায় ২৪১টি চা বাগানে কাজ করা শ্রমিকদের জীবন প্রায় একই পথের সূত্রে গাঁথা। প্রতিদিন তাদের পরিশ্রমের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়।
সারাদিন হাড় ভাঙ্গা খাটুনির পর মেলে সর্বোচ্চ রোজ ১৭৮.৫০ টাকা, তাতেই সন্তুষ্টি নেই কোন হতাশার চাওয়া পাওয়া। তা দিয়ে কখনো ভাত খেয়ে কখনো না খেয়ে দিন যাপন করতে হয় সবার পাতে।মেদহীন অক্লান্ত পরিশ্রমী শরীরে মাথায় করে বয়ে চলেছেন চা পাতার বোঝা। বাগানের অগোছালো পরিবেশে বেড়ে ওঠে তাদের সন্তান ও পরিবার। প্রায়ই ভোগে অপুষ্টিসহ নানা রোগে। নেই কোন উন্নত শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা সুযোগও সীমিত।
বর্তমানে কিছু শ্রমিকরা ভালোভাবে বেঁচে থাকার আন্দোলনে ন্যূনতম মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে মাঝেমধ্যে ধর্মঘটন করে যাচ্ছেন। বৈঠকের পর বৈঠক হলেও আসানো রূপ কোন সমাধান মিলছে না। সকল শ্রমিকদের একটাই চাওয়া বাংলাদেশের সরকার যেন তাদের দিনান্ত শ্রমের কাঙ্ক্ষিত মজুরি পায় সুযোগটুকু করে দিতে। এই বাগানই তাদের শেষ আশ্রয়স্থল তাদের আত্মার সাথে মিশে আছে এই বাগানের মাটি ও কর্ম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।