চাঁদপুর প্রতিনিধি: প্রবল স্রোতে পদ্মা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের মোজাফ্ফরিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়। বর্ষা মৌসুম আসার পরেই ওই এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছিলো, যা এখন আরো তীব্র হচ্ছে। খবর বাসসের।
মঙ্গলবার দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙনের কবলে পড়ে। পরে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহায়তায় মালামাল অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী, ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিউল্যাহ সরকারসহ স্থানীয় অন্যান্য জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকে মালামাল সরাতে সহযোগিতা করেন।
এর আগেও বেশ কয়েকবার ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয় পদ্মার ভাঙনের শিকার হয়। এতে করে বিদ্যালয় অবকাঠামগত কাজ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখা ব্যাহত হয়। বিদ্যালয় নতুন স্থানে স্থানান্ত র করার আগ পর্যন্ত খোলা আকাশের নীচেই পাঠদান করতে হবে শিক্ষার্থীদের ।
অপরদিকে মোজাফ্ফরিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি গত কয়েকবছর আগে পাকা ভবন নির্মাণ হয়। ওই ভবনটি ও এখন পদ্মা নদীতে বিলীন হয়েগেছে। এ প্রতিষ্ঠানটিতে ও এখন খোলা আকাশের নীচে পাঠদান করা ছাড়া উপায় নেই।
ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিউল্যাহ সরকার জানান,প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এবং প্রাকৃতিক দুূর্যোগ আসলেই রাজরাজেশ্বর চরাঞ্চলের দুূর্ভোগ বাড়তে থাকে। এখানকার স্থানীয় জনগণের ও স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ভিটাভূমি রক্ষায় সরকারকে এগিয়ে আসার জন্য ও আহব্বান জানান তিনি।
চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী জানান , ভাঙন দেখা দেয়ার পর থেকে আমি বিষয়টি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। আমার সাথে তাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের টিম আসার কথা রয়েছে দেখতে।
চাঁদপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান,এ জাগাটি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা, এ চরের এক পাশে পদ্মা অন্য পাশে মেঘনা নদী। এখানো পানির স্রোতের গতিবেগ খুব বেশি। এখানে আমাদের কোন প্রকল্প গ্রহণ করা নেই, তাই এ মুহুর্তে কাজ করতে পারছিনা, তবে বিষয়টি আমি ঢাকায় জানিয়েছি এখন সেখান থেকে যে ভাবে কাজ করতে বলবে আমরা সেই ভাবেই করবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।