জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। সম্প্রতি বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি-সেক্রেটারী শোভন-রব্বানীকে অপসারণ করা হলে গোটা দেশজুড়ে বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার ঝড় তোলে।
এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধেও নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার একই কমিটির সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলামকে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করায় মহানগরজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
গত শনিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন লাভ রোড থেকে তাকে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলে ঘটনাটি টক অফ দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।
জানা গেছে, প্রজাপতি পরিবহন নামে একটি বাস কোম্পানির কাছে মাসে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন এ ছাত্রলীগ নেতা। চাঁদা না দেওয়ায় শনিবার রাতে ওই কোম্পানির ৫টি বাসের সব যাত্রী নামিয়ে দিয়ে সেগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পরিবহনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে আরিফ ও তার সহযোগী বাহিনী। এ সময় তারা বাসের চালক ও সহকারীদের চাঁদা না দিলে রাস্তায় কোনো বাসের চাকা ঘুরবে না বলে হুমকী দেন । শনিবার রাতেই মিরপুর মডেল থানায় প্রজাপতি পরিবহন রোড ইনচার্জ মোঃ তানজিল ছাত্রলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম ছাড়াও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মিরপুর মডেল থানার মামলা নম্বর -৩৯।
তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে গতকাল আরিফুল ইসলামকে আদালতে পাঠান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার এসআই মোঃ শাহ আলম। শুনানি শেষে বিকালে সিএমএম আদালতের হাকিম মঈনুল ইসলাম রিমান্ড নামঞ্জুর করে আরিফকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী প্রজাপতি পরিবহনের ইনচার্জ মোঃ তানজিল বলেন, রাস্তায় গাড়ি চললেই প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে দিতে হবে বলে বেশ কিছুদিন ধরে প্রজাপতি পরিবহনের এমডি রফিকুল ইসলামকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন আরিফুল ইসলাম। আমাকে চাঁদা না দিলে বাসের চাকা ঘুরবেনা বলে হুমকি দেন আরিফুল। শেষমেষ চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিরপুরের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে থেকে প্রজাপতি পরিবহনের ৫টি যাত্রীবাহী বাস থামান আরিফুল ইসলাম ও তার সহযোগিরা।
প্রকাশ্য সড়কে সন্ত্রাসী স্টাইলে বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে গাড়িগুলো পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের অদূরে রাস্তায় আটকে রাখেন তারা। মারধর করে বাস থেকে চালক-হেলপারদেরও নামিয়ে দিয়ে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে নেন। বিষয়টি মিরপুর থানা পুলিশকে জানালে অভিযান চালিয়ে আরিফুল ইসলামকে রাতেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তবে তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার এসআই মোঃ শাহ আলম বলেন, জব্দকৃত ৫টি বাস বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। অন্য আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।