চীন ২০৩০ সালের আগে চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামের তুলনায় চীনের এই সময়সীমা এগিয়ে রয়েছে। দুই পরাশক্তির মধ্যে নতুন এই চন্দ্র প্রতিযোগিতা বৈশ্বিক প্রভাব রাখবে। চাঁদের মানব অভিযান আবারও শুরু হতে যাচ্ছে।
নাসার আর্টেমিস ৩ মিশন ২০২৭ সালে হওয়ার কথা। কিন্তু কারিগরি সমস্যা ও বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে তা পিছিয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে চীনের লং মার্চ ১০ রকেট ও ল্যান্ডার উন্নয়ন দ্রুত এগোচ্ছে। এই চাঁদের মানব অভিযান প্রতিযোগিতা নতুন মহাকাশ যুগের সূচনা করবে।
চীনের চন্দ্র মিশনের পরিকল্পনা
চীন তাদের মিশনের জন্য মেংঝো মহাকাশযান ও লান্যুই ল্যান্ডার তৈরি করছে। দুইটি আলাদা লং মার্চ ১০ রকেটে করে এগুলো উৎক্ষেপণ করা হবে। চন্দ্র কক্ষপথে এগুলো ডকিং করার পর দুইজন নভোচারি চাঁদের surface-এ নামবেন।
চীনের রোবোটিক চন্দ্র মিশনগুলোও সফল হচ্ছে। চাং’ই-৭ মিশন ২০২৬ সালে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যাবে। সেখানে পানি বরফের সন্ধান করবে এই মিশন। এটি ভবিষ্যত মানব অভিযানের ভিত্তি তৈরি করছে।
নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামের চ্যালেঞ্জ
নাসার অরিওন মহাকাশযানের হিট শিল্ড সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে। স্পেসএক্সের স্টারশিপও এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। চাঁদের surface-এ নামার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি স্থানান্তর প্রযুক্তিও পরীক্ষিত হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক পরিবর্তনও নাসার পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করে। প্রতি প্রেসিডেন্টের সাথে মহাকাশ নীতির পরিবর্তন হয়। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ে।
চন্দ্র প্রতিযোগিতার বৈশ্বিক প্রভাব
চাঁদে প্রথম মানুষ পাঠানো দেশটি বৈশ্বিক মহাকাশ নেতৃত্ব দাবি করতে পারবে। চীন ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণা স্টেশন প্রস্তাব করেছে। অনেক দেশ এই উদ্যোগে যোগ দিতে পারে।
চন্দ্র সম্পদ ব্যবহারের নিয়মও এই প্রতিযোগিতা দ্বারা প্রভাবিত হবে। পানি বরফ উত্তোলনের অধিকার নিয়ে নতুন নীতিমালা তৈরি হবে। বৈশ্বিক মহাকাশ আইনে পরিবর্তন আসতে পারে।
চাঁদের মানব অভিযান নতুন মহাকাশ যুগের সূচনা করবে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই চন্দ্র প্রতিযোগিতা বৈশ্বিক প্রযুক্তি ভারসাম্য বদলে দিতে পারে। আগামী দশকেই আমরা চাঁদে মানুষের স্থায়ী উপস্থিতি দেখতে পারি।
জেনে রাখুন-
Q1: চীন কবে চাঁদে মানুষ পাঠাতে পারে?
চীন ২০৩০ সালের আগেই চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তাদের বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী এই সময়সীমা বাস্তবায়নযোগ্য।
Q2: নাসার আর্টেমিস মিশন কেন পিছাচ্ছে?
কারিগরি সমস্যা, বাজেট সীমাবদ্ধতা এবং স্পেসএক্সের স্টারশিপের বিলম্বের কারণে আর্টেমিস মিশন পিছিয়েছে। ২০২৭ সালের আগে চন্দ্র landing সম্ভব নাও হতে পারে।
Q3: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কেন মিশন করা হচ্ছে?
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে স্থায়ীভাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন crater রয়েছে। এসব crater-এ পানি বরফের বিপুল মজুদ থাকতে পারে। এই পানি ভবিষ্যত মহাকাশ মিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
Q4: চন্দ্র মিশন থেকে কী প্রযুক্তি লাভ হবে?
চন্দ্র মিশন থেকে propulsion, materials science এবং in-situ resource utilization-এ উন্নতি হবে। এসব প্রযুক্তি পৃথিবীতেও ব্যবহৃত হতে পারে।
Q5: বাংলাদেশের মহাকাশ কর্মসূচির কি অবস্থা?
বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছে। এখনো চন্দ্র মিশনের পরিকল্পনা নেই। কিন্তু ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক partnership-এ অংশ নিতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।