প্রশ্নটা শুনলে অবাকই লাগে। চাঁদের যে মালিকানার ব্যাপার থাকতে পারে, সে ধরনের চিন্তা সাধারণত মাথায় আসে না। আমরা দেখেছি ঔপনিবেশিক আমলে নতুন কোনো দেশ জয় করে পতাকা উড়িয়ে দিলেই সেখানে তার মালিকানা প্রতিষ্ঠা হয়ে যেত।
এখন দেখছি, ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই চাঁদের পিঠে নেমে নিল আর্মস্ট্রং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা উড়িয়ে দিয়েছেন। আগের ধারায় তাহলে কি যুক্তরাষ্ট্র চাঁদের মালিকানা পেয়ে গেল? না, সেটা হবে না। কারণ এর দুই বছর আগেই ১৯৬৭ সালে আমেরিকানরা ‘জাতিসংঘ আউটার স্পেস ট্রিটি’ বা মহাশূন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
সেখানে স্পষ্ট বলা আছে, কোনো দেশ চাঁদ বা মহাজাগতিক কোনো বস্তুর ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করতে পারবে না। ওগুলো সবার সম্পত্তি। মহাকাশে যাতায়াত করছে এমন সব দেশ তাতে স্বাক্ষর করেছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১০২টি দেশ এতে স্বাক্ষর করে। চীনও স্বাক্ষর করেছে ১৯৮৩ সালে। তবে চাঁদে বা মঙ্গল গ্রহে জমি বিক্রির উদ্ভট খবর আমরা মাঝেমধ্যে পাই।
যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তি একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়ে দেদার চাঁদে জমি বিক্রি করে কোটিপতি হয়ে গেছেন, এমন খবরও পত্রিকায় দেখি। তাঁরা বলছেন, জাতিসংঘের চুক্তি কোনো দেশের মালিকানা বাতিল করেছে, কিন্তু কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তির মালিকানার বিষয়টি নাকচ করেনি। তাই তাঁরা সেখানে জমি বিক্রি করে চলেছেন। একধরনের শৌখিন মানুষ কিছু ডলার দিয়ে চাঁদে এক খণ্ড জমির মালিকানার দলিল লিখিয়ে নিচ্ছেন। এসব দলিলের কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।