চাঁদ না থাকলে পৃথিবীর সমুদ্রে জোয়ার–ভাটাই হতো না। সুতরাং বলা চলে, এ দুয়ের মধ্যে একেবারে গলায়–গলায় ভাব! এর কারণ হলো, পৃথিবীর ওপর চাঁদের মহাকর্ষ বলের প্রভাব। প্রশ্ন উঠতে পারে, চাঁদ তো অনেক দূরে। তাহলে সেখান থেকে এত প্রভাব ফেলে কীভাবে? এটা অবশ্য ঠিক।
চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে গড় দূরত্ব ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪৯৯ কিলোমিটার বা ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫৫ মাইল। সূর্যের তুলনায় অনেক কাছে। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল। কিন্তু চাঁদের আকার পৃথিবীর প্রায় এক–চতুর্থাংশ। সুতরাং পৃথিবীপৃষ্ঠের যে অংশ বরাবর আকাশে চাঁদ থাকে, সেই অংশের সমুদ্রের পানি চাঁদের মহাকর্ষ বলের প্রভাবে কিছুটা ফুলে ওঠে। এটাই জোয়ার।
আবার একই সঙ্গে চাঁদের টানে পৃথিবীও কিছুটা এগিয়ে যায়। তখন পৃথিবীর ঠিক বিপরীত পাশের সমুদ্রের পানি কিছুটা ফুলে ওঠে। তাই সেখানেই জোয়ার হয়। এই সময় অপর দুই পাশের সমুদ্রের পানিতে ভাটার সৃষ্টি হয়। পানির তল নেমে যায়। এভাবে চাঁদের প্রভাবে দিনে দুইবার করে জোয়ার–ভাটা হয়।
চাঁদ যদি না থাকত, তাহলে পৃথিবীর দিনের দৈর্ঘ্য ৬ থেকে ১২ ঘণ্টা হতো এবং ১ হাজার বছরের চেয়ে বেশি দিনে এক বছর হতো। এর কারণ, চাঁদের মহাকর্ষ বলের প্রভাবে পৃথিবীর ঘূর্ণনগতি কিছুটা কমে যায়। তাই ২৪ ঘণ্টায় এক দিন, ৩৬৫ দিনে এক বছর। চাঁদ না থাকলে পৃথিবীতে এ ধরনের আরও অনেক ওলট–পালট লাগত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।