জুমবাংলা ডেস্ক: আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে এখনও শুরু হয়নি গাছ থেকে আম নামানো। চলতি মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আম বাজারজাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাকৃতিক আবহওয়ার কারণে দেশের অনান্য স্থানে আম বাজারে আসলেও এখনও স্থানীয় বাজারে আম নামতে শুরু করেনি। গত দুই বছরের মতো এবার গাছ থেকে আম নামানোর সময়সীমা নির্ধারণ করেনি জেলা প্রশাসন। আম যখনই পাকবে,তখনই বাজারজাত করা যাবে।
জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় এবার ৩৭ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে আম চাষাবাদ করা হচ্ছে। এসব জমিতে গাছের সংখ্যা ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৪০টি। চলতি আম মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর।
গত বছর জেলায় ৩৭ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়েছিল। সে মৌসুমে জেলায় আম উৎপাদন হয় ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। ২০২১ সালে জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমি থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন এবং ২০২০ সালে ৩৩ হাজার হেক্টর জমি থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়। আম বাণিজ্যে গত বছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৭০০ কোটি টাকা বৃদ্ধির আশা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ। এ বছরে প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আম বাণিজ্যের আশা করছে তারা।
আম চাষি ও বাগানিরা জানান, গত বছর আমের ফলন কম হলেও, বাগান মালিকসহ ব্যবসায়ীরা দ্বিগুণ দাম পেয়েছিল। এই বছর গাছে প্রচুর মুকুল এসেছিল। বৈচিত্র্য আবহাওয়ার কারণে তুলনামূলক কম ফলন হয়েছে। এছাড়াও কিছু কিছু এলাকায় আমের শিলাবৃষ্টিতে আমের ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত গাছে যেগুলো আম আছে, সেগুলো টিকে থাকলে নায্য দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন তারা।
এসব আম বাগান মালিকরা বাজারে ওজন নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন। তারা বলেন, জেলার যতগুলো আমের বাজার আছে, প্রায় সবগুলোতেই ৪০ কেজির উপরে মণ ধরা হয়। কোনো কোনো বাজারে ৪৫-৫২ কেজিতে এক মণ ধরেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও আম বহনের জন্য প্লাস্টিকের তৈরি ক্যারেটের দাম বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন তারা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, চলতি বছর আমের জন্য অন ইয়ার বা বেশি ফলনের বছর। এবার বাগানের ৯০ ভাগ গাছে আমের মুকুল এসেছিল। আমের ফলনও ভালো হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার আমের ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি কেজি আম ৬০ টাকা দরে বিক্রি হলে জেলায় মোট ২৪০০ কোটি টাকা আম বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
*কোন আম কখন বাজারে-
আটি-গুটি – মে মাসের শেষ সপ্তাহ।
গোপালভোগ -মে মাসের শেষ সপ্তাহ ।
ক্ষিরশেপাত- জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ ।
পালমার- জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ ।
বোম্বাই- জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ ।
ল্যাংড়া-জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ ।
ফজলি-জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ ।
কাটিমন-জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ ।
হাড়িভাঙ্গা-জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ ।
আম্রপালি-জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ ।
ডকমাই- জুন মাসের শেষ সপ্তাহ।
ব্যানানা-জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ।
বারি-৪- জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ।
এ তথ্য জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।