চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আপনাকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন আর্থিক স্থিতিশীলতা, কর্মজীবনের গতিপথ বা ব্যক্তিগত সুস্থতাতেও ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। কখনো কখনো হুট করে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আপনার জীবনে নিজের পায়ে কুড়াল মারার মতোও হতে পারে। ভেবেচিন্তে ঠান্ডা মাথায় এসব সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
চাকরি ছাড়ার আগে কিছু বিবেচ্য বিষয় জেনে রাখা জরুরি। তাই এখানে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হলো, যা আপনি আপনার বর্তমান কর্মস্থল ছাড়ার পূর্বে অবশ্যই মাথায় রাখবেন। কোনো একটি চাকরি ছাড়ার পূর্বে অবশ্যই নিজের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান রাখতে হবে। দেখতে হবে, আপনার সঞ্চয়ে আগামী তিন-ছয় মাস চলার মতো টাকা আছে কি না। আপনি যে সময় নতুন চাকরি খুঁজবেন, সে সময়ের আর্থিক ব্যাকআপের কথা আপনার ভাবনায় রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনার বাসাভাড়া, ট্রান্সপোর্ট খরচ, বাজার খরচসহ যাবতীয় টুকটাক হিসাব মাথায় রাখতে হবে।
কোনো একটি চাকরি ছাড়ার পূর্বে অবশ্যই নিজের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান রাখতে হবে। দেখতে হবে, আপনার সঞ্চয়ে আগামী তিন-ছয় মাস চলার মতো টাকা আছে কি না। আপনি যে সময় নতুন চাকরি খুঁজবেন, সে সময়ের আর্থিক ব্যাকআপের কথা আপনার ভাবনায় রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনার বাসাভাড়া, ট্রান্সপোর্ট খরচ, বাজার খরচসহ যাবতীয় টুকটাক হিসাব মাথায় রাখতে হবে।
চাকরি ছাড়ার পূর্বে আপনার বর্তমান কর্মস্থলের পরিবেশ আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থের ওপর কেমন প্রভাব ফেলছে, তা নির্ণয় করুন। যদি আপনি মনে করেন, এই চাকরি আপনার শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তাইলে আপনার এখান থেকে সরে যাওয়াটাই শ্রেয়। সেই সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত আপনার ব্যক্তিগত জীবন ও সম্পর্কে কতটুকু প্রভাব ফেলছে, তা–ও মাথায় রাখুন। আপনার কাজ যদি আপনার নিজের বা আপনার বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের জন্য সময় না দিয়ে উল্টো আপনাকে নিঃসঙ্গ করে তোলে, তাহলে এটি ছেড়ে দেওয়া এবং অন্য একটি চাকরি খোঁজাই আপনার জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে।
আপনার যদি মনে হয়, আপনার বর্তমান কর্মস্থল টক্সিক হয়ে উঠছে, অফিসের ভেতরটা ইন্টারনাল পলিটিকস দিয়ে ভরে উঠছে, যা আপনাকে মানসিক ও আবেগীয়ভাবে প্রভাবিত করছে বা আপনার ক্যারিয়ার গ্রোথে বাধা সৃষ্টি করছে, তাইলে চাকরি সুইচ করা একটি ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে আপনার জন্য। কিন্তু আপনার বর্তমান কর্মস্থল ছাড়ার পূর্বে আপনার সহকর্মী, ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে চাকরি ছাড়বেন। এটি পরবর্তী চাকরিতে ভালো রেফারেন্স পেতে ভূমিকা রাখবে। চাকরি ছাড়ার আগে যথাযথ নোটিশ দেওয়া এবং আপনার দায়িত্বগুলো সম্পূর্ণ করা এই সম্পর্কগুলো ভালো রাখতে সাহায্য করতে পারে।
চাকরি ছাড়ার আগে দেখে নিন, আপনার বর্তমান প্রতিষ্ঠানে অন্য কোনো পদে আপনি যোগ্য কি না। যদি সেলারিই আপনার চাকরি ছাড়ার একমাত্র কারণ হয়ে থাকে, তবে আপনার ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলুন। কখনো কখনো বেতন, কাজের চাপ বা কাজের দায়িত্বের মতো সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে। এতে আপনার বর্তমান চাকরিটি ছাড়ার প্রয়োজন না–ও হতে পারে। তাই হুটহাট কোনো সিদ্ধান্ত নয়। ভেবেচিন্তে ঠান্ড মাথায় সিদ্ধান্ত নিন। এটি আপনার ক্যারিয়ারের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।