জুমবাংলা ডেস্ক: বেথেলহেম জেরুজালেম শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে। পবিত্র ভূমির উর্বর চুনাপাথর ও পাহাড়ি দেশে অবস্থিত। খ্রিস্টীয় অন্তত ২য় শতাব্দী থেকে লোকেরা বিশ্বাস করে যে চার্চ অফ দ্য নেটিভিটি, বেথেলহেম এখন যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানেই যিশুর জন্ম হয়েছিল। প্রথমে এখানে চার্চ নির্মিত হয়েছিল, ঐতিহ্যগতভাবে এটিই জন্মস্থান বলে বিশ্বাস করা হয়।
জন্মস্থান সনাক্তকরণে, স্থানটিকে খ্রিস্টধর্মের সূচনাস্থল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই গির্জা এটি খ্রিস্টধর্মের অন্যতম পবিত্র স্থান। গত ১৭০০ বছর ধরে বেথেলহেম এবং চার্চ অফ দ্য নেটিভিটি একটি তীর্থযাত্রী গন্তব্য ছিল এবং এখনও রয়েছে। জেরুজালেম থেকে চার্চ পর্যন্ত ঐতিহ্যবাহী রাস্তাটি পিলগ্রিমেজ রুট নামে পরিচিত। সেই রাস্তাটিকে বলা হয় বেথেলহেমের ঐতিহ্যবাহী প্রবেশদ্বার।
খ্রীস্টান ধর্মালম্বিদের কাছে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা চার্চ অফ দ্য নেটিভিটি। গির্জাটি ৩২৫-৩২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কনস্টানটিন দ্য গ্রেট তার মাতা সম্রাজ্ঞি হেলেনার বেথেলহেম নগরী ভ্রমণের কিছু সময় পরে এই গির্জাটি নির্মাণ করেছিলেন। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী যিশুখ্রিস্টের জন্মস্থানে নেটিভিটি গির্জা নির্মাণ করা হয়েছিল।
ষষ্ঠ শতকে সম্ভবত ৫২৯ সালে সমারিতান বিদ্রোহের সময় এই গীর্জাটি সম্পূর্ণ ধ্বংস প্রাপ্ত হয়েছিল। এর বেশ কয়েক বছর পরে বাইজেন্টাইন সম্রাট জাস্টিনিয়ান (৫২৭-৫৬৫) একই স্থানে নতুন একটি গীর্জা তৈরি করেন। নতুন গীর্জাটিতে একটি বারান্দা এবং অস্টাকৃতি স্যাংচুয়ারি সংযোজন করা হয়।
২৫ ডিসেম্বর নয়, বিশ্বের বহু দেশে যিশুর জন্মদিন যে তারিখে পালিত হয়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।