খুলনা অঞ্চলের চিংড়ি রপ্তানি নিয়ে ভালো সংবাদ রয়েছে। বর্তমান অর্থ বছরের ছয় মাসে আয় এবং রপ্তানি দুইটি বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ উৎপাদন না হওয়ায় রপ্তানি কিছুটা কম হয়েছে। তবে মৎস্য অধিদপ্তর বলছে ভিন্ন কথা।
তারা দাবি করছে যে, চিংড়ি রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তারা ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায়। চিংড়ি চাষের ক্ষেত্রে আধুনিক পদ্ধতি নিয়ে আসতে যাচ্ছে মৎস্য অধিদপ্তর। করোনা সংকটের পর থেকে মাছ রপ্তানিতে বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে গেছে।
তবে এখন বিষয়টি আগের জায়গায় ফেরত আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ এলাকা থেকে 11 হাজার 318 টন চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে। এর আগের অর্থ বছর থেকে এটি ২১০০ টন বেশি। এর ফলে ১১ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা আয় হয়েছে আমাদের।
ইউরোপের অর্থনীতি এখন আগের থেকে অনেক ভালো। তাই তারা আমদানি করা বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে চিংড়ি রপ্তানি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে মাছ রপ্তানি কিছুটা কমে গিয়েছিল। আবার মাঝে ইউরোপের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় ছিল না।
রপ্তানিকারকেরা বলছেন, আয় কিছুটা বাড়লেও সেটা কতদিন ঠিক থাকবে তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) পরিচালক এম এ হাসান পান্না বলেন, রপ্তানি আয় বৃদ্ধির বিষয়টির সঙ্গে ডলারের দাম বৃদ্ধির বিষয়টিও রয়েছে।
বাস্তবতা হচ্ছে আমরা আমাদের সক্ষমতার মাত্র ৪০ শতাংশ মাছ রপ্তানি করছি। বাকি মাছ আমরা সংগ্রহ করতে পারছি না। পোনা ও ভালো মাছের সংকট রয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, উৎপাদন বাড়াতে আধুনিক পদ্ধতির চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে খামারিদের।
লিপটন সরদার আরও বলেন, রপ্তানি বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে ও রপ্তানিকারকদের মাছের চাহিদা মেটাতে নিজেদের আধুনিক মৎস্যচাষে মনোযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি কৃষকদেরও ভালো পোনা ও আধুনিক মৎস্যচাষের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
মৎস্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চিংড়ি ও সাদা মাছ রপ্তানি হয়েছিল ২৫ হাজার ১৯৬ মেট্রিক টন। এর আগের অর্থবছরে ৩৩ হাজার ৭২৭ মেট্রিক টন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।