জুমবাংলা ডেস্ক : চীনামাটি হচ্ছে বিশেষ ধরনের মাটি, যা বিভিন্ন দ্রব্য তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়? এর ব্যবহার প্রাচীন। ধারণা করা হয়, চীনারা সর্বপ্রথম মাটির পাত্র তৈরি করার জন্য একধরনের সাদা মাটি ব্যবহার করত। আর এ কারণেই একে চীনামাটি নামে নামকরণ করা হয়।
তবে ক্যাওলিং টিলা থেকে সংগ্রহ করার জন্য কোথাও কোথাও এটি ক্যাওলিন নামেও পরিচিতি লাভ করে। এই মাটিতে আছে ৪৬ শতাংশ বালু, ৪০ শতাংশ অ্যালুমিনা ও ১৪ শতাংশ পানি।
উচ্চতাপে আগুনে পোড়ালে চীনামাটি সাদা, মসৃণ ও চকচকে হয়। এ বৈশিষ্ট্যের জন্যই এ মাটি দিয়ে কাপ, প্লেট, বাটি ইত্যাদি তৈরি করা হয়।
এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং দক্ষিণ আমেরিকার খনি থেকে প্রচুর পরিমাণে চীনামাটি সংগ্রহ করা হয়। পশ্চিম ইংল্যান্ডে কর্নওয়ালে ও পশ্চিম ডেভনে চীনামাটির পলি তলানি পাওয়া যায়। এ জন্য এসব এলাকায় নানা ধরনের মৃৎশিল্প গড়ে উঠেছে। মৃৎশিল্প বা মাটির তৈরি শিল্পের পাশাপাশি চীনামাটি কাগজ, রাবার, রঙ, প্রসাধনী দ্রব্য ইত্যাদি তৈরিতেও ব্যবহার করা যায়।
চীনামাটির পাত্র তৈরির জন্য প্রথমে কোয়ার্টজ ও ফেলসপার চূর্ণ চীনামাটির সাথে মেশাতে হয়। পরে পানি দিয়ে মণ্ড তৈরি করা হয়। সে মণ্ড থেকে তৈরি হয় নানা ধরনের মৃৎপাত্র। এরপর পাত্রগুলো শুকানোর পর ১৩০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সেঁকা বা পোড়ানো হয়। এরপর সেগুলোতে দেয়া হয় কাচের প্রলেপ; সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের রঙ ব্যবহার করে নকশাও করা হয়। এভাবেই চীনামাটি থেকে পাওয়া যায় বিভিন্ন দ্রব্য।
তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।