জুমবাংলা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনের বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটটি (বিজি-১৭০১) বেইজিং সময় সন্ধ্যা ৬টায় বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এর আগে বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা ৫ মিনিটে বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে চীনের ভাইস মিনিস্টার, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: জসিম উদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বাড়ানোসহ প্রভৃতি বিষয়ে ২০ থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারকে সই হতে পারে।
আগামীকাল সকালে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী সাংগ্রিলা সার্কেলে অনুষ্ঠেয় ‘সামিট অন ট্রেড, বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশ নেবেন।
বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল সম্মেলনে যোগ দেবে। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী চাইনিজ পিপল’স পলিটিক্যাল কনসাল্টেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। বিকেলে ঐতিহ্যবাহী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। রাতে তিনি বেইজিংস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেবেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাতের আগে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। একই স্থানে প্রধানমন্ত্রী ও চীনের প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলসহ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন।
এরপর দুই দেশের সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০ থেকে ২২টির মতো সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর হবে এবং কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা হবে। সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চীনের রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা; অর্থনৈতিক উন্নয়ননীতি সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা; বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত সহযোগিতা; নবম চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নিয়ে সমঝোতা; মেডিক্যাল ও পাবলিক হেলথ বিষয়ে সমঝোতা; রেডিও ও টেলিভিশন-সংক্রান্ত সহযোগিতা সমঝোতা।
একই দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
১১ জুলাই দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।