গত ৩ মে শুক্রবার চীনের হাইনান থেকে চাঙ-ই ৬ উৎক্ষেপণ করা হয়। ১ জুন এটি চাঁদের অ্যাপোলো ক্রেটার বা খাদে অবতরণ করে। রোবটিক হাতের সাহায্যে ওই খাদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এটি। একটি স্কুপ ও ড্রিলের সাহায্যে চাঁদ থেকে প্রায় ২ কেজি নমুনা সংগ্রহ করেছে ল্যান্ডারটি। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবস্থিত এই খাদ প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার প্রশস্ত।
চাঙ-ই ৬ চারটি মডিউল নিয়ে গঠিত। একটি চন্দ্রল্যান্ডার, একটি রিটার্ন ক্যাপসুল, একটি অরবিটার ও একটি আরোহী (ল্যান্ডার দিয়ে বহন করা একটা ছোট রকেট)। এই রিটার্ন ক্যাপসুল ২১ জুন সংগৃহীত নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে যাত্রা শুরু করে, ২৫ জুন ফিরে আসে পৃথিবীতে।
প্ল্যানেটারি সোসাইটির মতে, এই নমুনা গবেষণা করে পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি ও বিকাশ সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে। হয়তো পৃথিবী গঠনকালে যে গ্রহাণুগুলো পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছিল, সেগুলোই পানি বহন করে এনেছিল পৃথিবীতে।
চাঙ-ই ৬ চাঁদের উল্টো পাশে চীনের দ্বিতীয় মিশন। ২০১৯ সালে চাঙ-ই ৪ ছিল চাঁদের ওই অংশে চীনের প্রথম মিশন। সেই মিশনে চাঁদে একটা রোভার অবতরণ করেছিল, যা আজও সক্রিয় রয়েছে চাঁদের মাটিতে। তবে চাঁদের দূরবর্তী বা অন্ধকার অঞ্চলে এই মিশনই চীনের শেষ মিশন নয়।
এরপর ২০২৬ ও ২০২৮ সালে যথাক্রমে চাঙ-ই ৭ ও চাঙ-ই ৮ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির। চাঁদে ঘাঁটি স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগুলো ওই মিশনে পরীক্ষা করে দেখা হবে। ভবিষ্যতে হয়তো চীন চাঁদে বসতি স্থাপনের কথা ভাবছে।
এখানে জানিয়ে রাখি, চীনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও চাঁদ নিয়ে গবেষণা করছে। এ জন্য আর্টেমিস প্রোগ্রাম চালু করেছে তারা। ইতিমধ্যে এ প্রোগ্রামের ৩টি মিশনের প্রথমটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আর্টেমিস ২ মিশন এই বছরের শেষদিকে বা ২০২৫ সালের শুরুতে চাঁদের কক্ষপথের উদ্দেশে যাত্রা করবে।
আর আর্টেমিস ৩ মিশনে সরাসরি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে মানুষ। সেই মিশনে পুরুষ নভোচারীর পাশাপাশি থাকবেন একজন নারী নভোচারীও। দেখা যাচ্ছে, চাঁদে ঘাঁটি তৈরির জন্য অনেক দেশই তোড়জোড় শুরু করেছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ভারত ও রাশিয়াও রয়েছে এই কাতারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।