লাইফস্টাইল ডেস্ক: কেবল ত্বকের সমস্যা নিয়ে ত্বক বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন তা নয়, তিনি অনেকক্ষেত্রে চুল পড়ারও সমাধান দিতে পারেন। যদি চিরুনিতে অস্বাভাবিক সংখ্যক চুলের উপস্থিতি দেখতে পান, তাহলে ত্বক বিশেষজ্ঞকে জানাতে পারেন।
অনেক কারণে অস্বাভাবিক হারে চুল পড়তে পারে, যেখানে সাধারণ কারণও অন্তর্ভুক্ত আছে। চুল পড়ার কিছু সাধারণ কারণ হলো- ওষুধের ব্যবহার, মানসিক চাপ, বাচ্চা প্রসব ও মৌসুমে পরিবর্তন।
চুল পড়ার এমনও কিছু কারণ আছে, যা ত্বক বিশেষজ্ঞের প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করলেই সমাধান পাওয়া যাবে। যদি প্রদাহের কারণে চুল পড়ে, তাহলে টপিক্যাল করটিসোন ক্রিম ও স্কাল্পে ইনজেকশনের মাধ্যমে মাথায় চুলের বৃদ্ধি করা যায়। চুল পড়ার একটি প্রদাহজনিত কারণ হলো সাইকাট্রিসিয়াল অ্যালোপেসিয়া।
নারীদের চুল হারানোর একটি অপ্রদাহজনিত কারণ হলো অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়া। এই সমস্যার ক্ষেত্রে মাথার শীর্ষভাগ থেকে সম্মুখ অংশ পর্যন্ত চুল পাতলা হতে থাকে। চিকিৎসকদের মতে, এই সমস্যার চিকিৎসা টপিক্যাল মিনোক্সিডিল দিয়ে করা যায়। এটি চুল পড়া প্রতিরোধ করে এবং কিছু নতুন চুল জন্মাতে সাহায্য করে তা গবেষণায় প্রমাণিত।
চুল পড়ার কারণ ভিত্তিতে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ প্লাটিলেট রিচ প্লাসমা (পিআরপি) থেরাপির পরামর্শও দিতে পারেন। পিআরপি থেরাপিতে চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপ্ত করতে স্কাল্পে নিজের রক্ত ইনজেক্ট করা হয়। এছাড়া এর একটি বিকল্প হলো লো-লেভেল লাইট থেরাপি, যেখানে ঘরে হেলমেট টাইপ ডিভাইস পরা হয়। গবেষণায় লো-লেভেল লাইট থেরাপিতে চুলের ঘনত্ব বাড়তে দেখা গেছে।
তথ্যসূত্র: বেস্ট হেলথ ম্যাগাজিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।