জুমবাংলা ডেস্ক : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৭নং চন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের নির্দেশে কলারোয়ায় মানসিক প্রতিবন্ধী গোলাম কুদ্দুসকে (৫০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবারে তাকে পিটিয়ে জখম করা হয়। মঙ্গলবার ভোররাতে তার মৃত্যু হয়।
গোলাম কুদ্দুস উপজেলার চন্দপুর ইউনিয়নের হিজলদী গ্রামে মৃত জোহর আলীর মানসিক প্রতিবন্ধী পুত্র।
নিহতের স্ত্রী ফিরোজা বেগম বলেন, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে প্রতিবেশী কবিরের স্ত্রী রাজিয়ার সঙ্গে আমার স্বামীর বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনা রাজিয়া চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামকে জানান। চেয়ারম্যান চৌকিদার দিলীপ ও অশোককে আমার স্বামীকে ধরতে পাঠান। আমার স্বামী তাদের সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদে যেতে অস্বীকৃতি জানালে দিলীপ ও অশোক তাকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। আমার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশী জড়ো হলে তারা তাকে ধরে নিয়ে যেতে উদ্যত হয়।
তিনি বলেন, চৌকিদাররা আমার স্বামীকে থানায় সোপর্দ করবে বলে জানায়। আমি তাদের হাতে পায়ে ধরে অনুরোধ করলে তারা আমার কাছে চেয়ারম্যানের নাম করে ৫ হাজার টাকা দাবি করে। আমি ঘরে থাকা চাল কেনার ২ হাজার টাকা তাদেরকে দিলে তারা আমার স্বামীকে ফেলে রেখে চলে যায়। আমি আমার স্বামীকে প্রথমে গয়ড়া বাজারের কবিরুল ডাক্তারের ক্লিনিক ও সাতক্ষীরায় হিরাজ মোহন ডাক্তারকে দেখালে তারা তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন।
ফিরোজা বেগম বলেন, মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে আমার স্বামীর অবস্থা খুব খারাপ হলে তাকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মেয়ে মনোয়ারা খাতুন (২৫) বলেন, আমার বাবাকে চেয়ারম্যান তার চৌকিদার দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার পরিবার প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে আমার পিতৃ হত্যার বিচার চাই। আমার বাবা একজন মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধী তাহলে কেন তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করলো?
কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহদী আল মাসুদ জানান, সকাল ৮টার দিকে রোগী অচেতন অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে তিনি রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের পিঠে, মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দৃশ্যমান ছিল।
কলারোয়া থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা প্রেরণ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। সূত্র : যুগান্তর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।