জুমবাংলা ডেস্ক : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় নুরুজ্জামান নামে এক যুবককে তুলে নিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে আটকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাডার বাহিনীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন ওই যুবক ও তার পরিবার।
রবিবার (১৭ মে) দুপুরে নির্যাতনের শিকার নুরুজ্জামানের চাচা আবুল কাশেম হাতীবান্ধা থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলার জাওরানী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ ও বিজিবি ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের বাড়ি থেকে নুরুজ্জামানকে উদ্ধার করে। রবিবার সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার জাওরানী এলাকার নবী হোসেনের ছেলে নুরুজ্জামান (২৫) ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন বলে অভিযোগ তোলেন চেয়ারম্যানের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন। শনিবার দুপুরে চেয়ারম্যানের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, ভাই মনজুর ও গ্রাম পুলিশ শামীম জাওরানী বাজার থেকে নুরুজ্জামানকে তুলে চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর একটি রুমে আটকে তার হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করেন। পরে মাদক দিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন।
খবর পেয়ে হাতীবান্ধা পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। এ সময় ওই যুবকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিপক্ষে কেউ গেলে তাকে বিভিন্ন কৌশলে আটক করে তার বাড়িতে নিয়ে এভাবেই নির্যাতন করা হয়।
নির্যাতনের শিকার নুরুজ্জামান বলেন, আমাকে মিথ্যা অভিযোগে তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করেন চেয়ারম্যানের লোকজন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন বলেন, গ্রাম পুলিশ ইয়াবাসহ ওই যুবককে আটক করেছে। তাকে নির্যাতন করা হয়নি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, এ ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে ওই যুবকের চাচা আবুল কাশেম অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র : জাগো নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।