কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের পর ২২ তারিখে যখন ফিফা র্যাঙ্কিং এর তালিকা পাবলিশ করা হয় তখন এক নম্বর পজিশনে আর্জেন্টিনা ছিল না। কাতার বিশ্বকাপ শুরুর আগে ফিফা র্যাঙ্কিং এর শীর্ষে ছিল ব্রাজিল। ব্রাজিল এখনো তার অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
যদিও কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে নেইমারের দলকে বিদায় নিতে হয়েছিল। আসলে আমরা যেভাবে ভাবি ফিফা র্যাঙ্কিং সিস্টেম সেভাবে কাজ করে না। বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলেই কোন দল তালিকার শীর্ষে চলে আসবে এমনটা নাও হতে পারে।
আর্জেন্টিনার বর্তমান পয়েন্ট ১৮৩৮। পাশাপাশি আর্জেন্টিনার থেকে দুই পয়েন্ট বেশি পেয়ে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। তাদের পয়েন্ট ১৮৪০। ফাইনালে গিয়ে আর্জেন্টিনার সাথে পরাজিত হওয়া ফ্রান্সের অবস্থান তালিকার তিন নম্বরে। আর ফিফা একটি গাণিতিক সমীকরণ মেনে এ পয়েন্ট সিস্টেম করে থাকে।
যে ম্যাচ খেলা হচ্ছে সে ম্যাচটির গুরুত্ব কতটুকু সেটা এ গাণিতিক সমীকরণ হিসাব করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হলে তার গুরুত্ব থাকবে একরকম এবং কোনো টুর্নামেন্টের ম্যাচ হলে তার গুরুত্ব থাকবে অন্যরকম। জয় বা পরাজয় বা ড্র এর ক্ষেত্রে ভিন্ন হিসাব করা হয়ে থাকে।
জয়ের সম্ভাবনা কতটুকু সেটাও গাণিতিক সমীকরণের হিসাবের মধ্যেই থাকে। তাছাড়া দুই দলের শক্তিমত্তার পার্থক্য দেখা হয় এবং এই পার্থক্য অনুযায়ী রেজাল্ট আসলে ফলাফল একরকম হবে এবং না আসলে পয়েন্টে ভিন্ন হবে।
তালিকার নিচের দল যদি উপরের দলকে হারাতে পারে তাহলে বাড়তি পয়েন্ট যোগ করা হবে। এ গাণিতিক সমীকরণ অনুযায়ী হিসাব করার পর আর্জেন্টিনা ৬৪.৫০ পয়েন্ট অতিরিক্ত পেতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে ব্রাজিল সর্বশেষ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ এবং কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচ ব্যতীত ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করায় তারা এখনো শীর্ষে অবস্থান করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।