জুমবাংলা ডেস্ক : দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছের প্রথম চালান রোববার ভারত যায়। প্রথম চালানে বেনাপোল হয়ে ২৪ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে গিয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ভোর থেকেই অকশনের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে প্রথম চালান এর ২৪ টন পদ্মার ইলিশ।
অধিকতর বড় আকারের দাম বিক্রি করা হচ্ছে পাইকারি বাজারে ১৫০০ থেকে ১৬০০ রুপি প্রতি কেজি দরে। একটু কম ওজনের এবং খানিকটা নরম হয়ে যাওয়া মাছ পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ রুপি দরে।
ভারতের পক্ষ থেকে আমদানিকারক নাজ ইন্টেক্স ইন্ডিয়া লিমিটেডের কর্ণধার আনোয়ার মাকসুদ জানিয়েছেন, এখন থেকে আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন নিয়ম করে বাংলাদেশ থেকে ট্রাকে করে পদ্মার ইলিশ আসবে হাওড়ার এ বৃহত্তম মাছের আড়তে। এখানে হাওড়া মাছের আড়তের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক কার্টন অকশন অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে খুচরা মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হবে।
এদিকে স্থানীয় খুচরা মাছ বিক্রেতারা হাওড়া মাছ বাজারে পদ্মার ইলিশ কিনতে দীর্ঘ লাইন দিয়েছেন।
পদ্মার ইলিশের প্রবেশের কারণে ভারতীয় ইলিশ মাছ বিক্রি কমে গেছে প্রথম দিনই। বাজারগুলোর মাছ বিক্রেতারা পদ্মার ইলিশের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আর তাই তারা স্থানীয় ইলিশের চেয়েও বেশি মূল্য দিয়ে বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, খুচরা বাজারে ক্রেতাদের কাছে প্রতি কেজি বাংলাদেশি ইলিশ বিক্রি করতে পারবেন ১৮০০ থেকে ২০০০ রুপী পর্যন্ত। বাংলাদেশ সরকার প্রতি কেজি ৬ ডলার হিসেবে মূল্য নির্ধারণ করে ভারতে এ ইলিশ রফতানি করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের পর থেকে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। এর পর থেকে বৈধভাবে বাংলাদেশের ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে যায়নি।
কলকাতায় ইলিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, ২০১২ সালের ৩০ জুলাই বাংলাদেশ সরকার ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয়।
এবার দুর্গাপূজায় বাংলাদেশ সরকার পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।