জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর তদবির করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ডাকসুর সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেন।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ডাকসুতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এসময় ডাকসুর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী (সাদি), ছাত্র পরিবহন সম্পাদক শামস ই নোমাব, ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ তানভীর, সদস্য তিলত্তমা শিকদার, ফরিদা পারভীনসহ অধিকাংশ ডাকসু নেতা উপস্থিত ছিলেন।
তবে এ অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন নুরুল হক নুর।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত এক সাংবাদিক জানতে চান, উপাচার্যের সঙ্গে ডাকসু নেতাদের আলোচনা সভায় ভিপি নুরুল হক কেন অনুপস্থিত ছিলেন?
জবাবে সাদ্দাম বলেন, তিনি (নূর) নিজের রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত আছেন। ক্যাম্পাসে খুব বেশি সময় দেন না। এজন্য তাকে পাওয়া যায়নি। শুনেছি, তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ নেয়ার জন্য লবিং-তদবির করছেন। যেহেতু ছাত্রদল বিবাহিতদের সংগঠন, তাই নূরের সেখানে পদ নিতে আরও সুবিধা হবে।
সাদ্দাম আরও বলেন, ডাকসুর বিভিন্ন বিষয়, মিটিং সমন্বয় করার দায়িত্ব ডাকসুর ভিপির। কিন্তু তিনি যদি নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় না দেন, তবে তার জন্য তো ডাকসুর কাজ থেমে থাকবে না।
তার দাবি, ডাকসু তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে আমরা শিক্ষার্থীসংশ্লিষ্ট কাজ করেছি। আমরা জো বাইক চালু করেছি, ভেন্ডিং মেশিন চালু করতে যাচ্ছি, সামনে ক্যাম্পাসে ইজি বাইকের ব্যবস্থা করা হবে।
সাদ্দামের সংবাদ সম্মেলনের পরপরই একই স্থানে ডাকসুর কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নুরুল হক নুর।
নুর বলেন, এটা একটা প্রোপাগাণ্ডা। এর আগে তারা আমার বিরুদ্ধে শিবিরেরও অভিযোগ দিয়েছে। আর আমি ডাকসুর ভিপি, এর চেয়ে বড় পরিচয় আর নেই। এটা গতানুগতিক কথা। তিনি কি বললেন না বললেন, সেটা নিয়ে আমার মাথা ঘামানোর কিছু নেই।
নুর আরও বলেন, সাদ্দাম পুরোপুরি সুস্থ নেই। তিনি এখনো অসুস্থ। মানসিকভাবেও তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। তার ভালো ডাক্তার দেখানো উচিত।
তিনি অভিযোগ করেন, ডাকসু কয়েকটি কাজ করলেও তারা শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারেনি।
ভিপি নুর বলেন, শিক্ষার্থীরা হলে মেধার ভিত্তিতে সিট পায় না। গঠনমূলক কথা বললেই তাদের মারধর করা হয়। গেস্টরুম অব্যাহত আছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় সিট বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। ডাকসুর অন্যান্য নেতা এসব বিষয়ে কোনো কথা বলেন না।
তিনি দাবি করেন, ডাকসু যেভাবে কার্যকর করা দরকার সেটি হচ্ছে না। এটি এখন ডাকসু লীগে পরিণত হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান একজন চাঁদাবাজের (জিএস গোলাম রাব্বানী) সঙ্গে মিটিং করে। কিন্তু আমরা দাবি জানিয়েছিলাম তাকে ডাকসু থেকে বহিষ্কার করতে।
এসময় নুর ঘোষণা দেন, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে যদি হলগুলোতে মেধাভিত্তিক সিট বরাদ্দ এবং বহিরাগতদের হল থেকে বের করে না দেওয়া হয় তবে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন করব।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.